সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পিঠে বা অনেক সময় কোমরে ব্যথা হয়। কী করি? খুব সহজ পাঁচটি উপায় আছে।
১.প্রথমে খাদ্যতালিকার দিকে নজর দিই। কী খাই প্রতিদিন? কিছু খাবার পিঠের ব্যথা কমায়, ওগুলো বেশি খেতে হবে। আবার কিছু খাবার পিঠের ব্যথা বাড়ায়, ওগুলো বাদ দেওয়াই ভালো। কিছু সামুদ্রিক মাছ খেলে উপকার পাওয়া যায়। সয়া শস্যজাত খাবার, তিসি, বাদাম, সবুজ চা, আদা, চেরি ফল প্রভৃতি পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। দিনের খাদ্যতালিকায় এসব রাখলে ব্যথার উপশম হয়। অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত (প্রসেসড), ভাজাপোড়া খাবার, মার্জারিন নামে পরিচিত প্রাণিজ ও উদ্ভিদের চর্বি থেকে তৈরি মাখন, অতিরিক্ত মাত্রায় সম্পৃক্ত চর্বি ও ট্রান্সফ্যাটের খাবার পিঠের ব্যথা বাড়ায়। এগুলো ওজন বাড়ায় এবং হার্টের জন্যও ক্ষতিকর।
২.ভিটামিন ডির অভাবে পিঠের ব্যথা হয়। তাই শরীরে একটু রোদ লাগাতে হবে। কারণ, ভিটামিন ডি হলো ‘সৌর’ ভিটামিন। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫ থেকে ৫২ বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী পিঠের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশের এই ভিটামিনের অভাব রয়েছে।
৩.প্যান্টের পেছনের পকেটে পেট ফোলা মানিব্যাগ নিয়ে সারা দিন অফিসের চেয়ারে বসে কাটালে পিঠের ব্যথা হতে পারে। কারণ, এটা মেরুদণ্ডে খোঁচা দেয় এবং নিতম্বের গুরুত্বপূর্ণ স্নায়ুতে চাপ দেয়। এর ফলে ওই স্নায়ুর প্রদাহ হতে পারে। ছেলেদের এই সমস্যা এত বেশি যে এ ধরনের ব্যথা মানিব্যাগ নিউরোপ্যাথি নামে পরিচিতি পেয়েছে। তাই মোটা মানিব্যাগ পিঠের শত্রু! একে যথা সম্ভব কৃশকায় রাখতে হবে।
৪.প্যারাসিটামল বা এই জাতীয় ব্যথার ওষুধের চেয়ে গরম সেঁক বেশি উপকারী। গরম পানির ব্যাগ পিঠ বা কোমরের সংস্পর্শে রেখে রাতে ঘুমালে বেশ আরাম পাওয়া যায়। একধরনের গরম সেঁক দেওয়ার ব্যাগ কোমরে-পিঠে বেঁধে রাখা যায়। ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার গরম সেঁক আট ঘণ্টা প্রয়োগ করলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার পাওয়া যায়।
৫.অফিসে কাজের সময় পায়ের নিচে একটি ছোট পিঁড়ি রাখলে সুফল আসে। ব্যথা সারে। হাঁটু যেন নিতম্বের অনুভূমিক তলের একটু ওপরে থাকে, সেটা দেখতে হবে। এতে পিঠের নিচের দিকে চাপ কমে এবং পিঠের ব্যথার উপশম হয়।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, এশিয়া, মার্চ ২০১৬
Collected....