যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টগুলো গত ৭ জানুয়ারি নতুন ‘ডায়েটারি গাইডলাইনস ফর আমেরিকানস’ প্রকাশ করেছে। এতে কিছু সুসংবাদ, আবার কারও কারও জন্য কিছু দুঃসংবাদও রয়েছে। আসুন দেখি কী বলা হয়েছে।
১.আপনি যদি তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেতে ভালোবাসেন, তাহলে পরিমিত মাত্রায় খাবেন। বাদাম, চিংড়ি মাছ, ডিম, কফি এগুলো স্বল্প পরিমাণে খেলে ক্ষতি নেই। আসল কথা হলো খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা। সব সময় অতিরিক্ত তেল-ঘি-চর্বিযুক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস বদলাতে হবে।
২.চিনি খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে।
৩. প্রতি বেলা খাবারের প্লেটের অর্ধেকে থাকবে সবজি ও ফল। সেগুলো লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা, নীল প্রভৃতি উজ্জ্বল রঙের হতে হবে। বাকি অর্ধেকে থাকবে ভাত বা রুটি। ওগুলো ঢেঁকিছাঁটা (হোল গ্রেন) হলে ভালো।
৪. সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত (স্যাচুরেটেড ফ্যাট) গোশত, মাখন, ঘি, পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ, মুরগির চামড়া প্রভৃতি কম খেতে হবে। আংশিক হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা ট্রান্সফ্যাটে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ওগুলো না খাওয়াই ভালো।
৫. সুসংবাদ হলো ডিম খাওয়া যেতে পারে। মেডিটারেনিয়ান ফুড বলে পরিচিতি অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত (আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট) অলিভ অয়েল, চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, মাছের চর্বি প্রভৃতি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
সূত্র: দি নিউইয়র্ক টাইমস ১৮ জানুয়ারি ২০১৬
Collected.