Religion & Belief (Alor Pothay) > Hajj
হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]
BRE SALAM SONY:
হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com] প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে হজ আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য জমা দিয়ে প্রিলগ্রিম আইডি গ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে নির্ধারিত কোটা সংখ্যক হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে মোয়াল্লেম ফি জমা দিতে হয়েছে। বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্যের বাকি টাকা জমা দিলেই কেবল প্রিলগ্রিম বা হজ আইডি দেয়া হবে। আর যারা প্রিলগ্রিম আইডি পাবেন তারাই কেবল হজে যেতে পারবেন। কিন্তু মোয়াল্লেম ফির টাকার বাইরে সর্বনি¤œ প্যাকেজের আরো প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা কোথায় জমা দেয়া হবে এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। এজেন্সিগুলো এ ব্যাপারে এখনো অন্ধকারে। জানতে চাইলে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে বলেন, সরকার হজযাত্রীদের প্যাকেজ মূল্য ব্যাংকে জমার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাবকে ছাড়পত্র দিতে বলেছে। বুধবার ধর্ম সচিবের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় হাবের নির্বাহী কমিটির সভায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এজেন্সিগুলো তাদের হাজীদের সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার পরই হাব ছাড়পত্র দেবে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আগামী ১৯ এপ্রিল হাবের জরুরি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সভায় মূলত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এক প্রশ্নের জবাবে শেখ আবদুল্লাহ বলেন, এরই মধ্যেই ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রী অতিরিক্ত হয়ে গেছে। ফলে যাতে কোনো ভুয়া নাম তালিকায় রেখে পরে কেউ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ না পায় সেটি এবার নিশ্চিত করা হবে। এ জন্য সরকার হজযাত্রীদের পুরো টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চাইছে। কিন্তু হাব নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না হলে কিভাবে টাকা জমার ব্যাপারে ছাড়পত্র দেবে, তা নিয়ে চিন্তায় আছে।এ দিকে এজেন্সি মালিকদের অনেকে বলছেনÑ বাড়ি ভাড়া, ক্যাটারিং সার্ভিসের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে এজেন্সিগুলোকে সৌদি আরব পাঠাতে হবে। এ ছাড়া বিমান ভাড়ার টাকাও এজেন্সিগুলোকেই পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে এজেন্সির অধীন হাজীদের সব টাকা জমা দিলে এ টাকা পাঠানো নিয়ে নতুন ঝামেলাও সৃষ্টি হবে। এজেন্সিগুলোর অনেকে বলছেন, এজেন্সিগুলো তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের নিজ নিজ হজযাত্রীদের টাকা জমার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই তো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এ দিকে সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, আসলে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য থেকে অনেক কম মূল্যে হজযাত্রী সংগ্রহ করায় অনেক এজেন্সির পক্ষে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য সরকার বা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে অনেকে প্রাক-নিবন্ধন সত্ত্বেও হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন না। সূত্র মতে, যেখানে সর্বনি¤œ প্যাকেজ মূল্য তিন লাখ চার হাজার ৯০৩ টাকা, সেখানে অনেক এজেন্সি সর্বনি¤œ দুই লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় পর্যন্ত হজযাত্রী নিয়েছেন। অন্য দিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বছর এ ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করার চেষ্টা করছে। সে ক্ষেত্রে কোনো এজেন্সি পুরো টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী তালিকা থেকে হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়। তবে গত বছরও হজের আগে প্যাজেক মূল্য কিস্তিতে জমার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। তবে সর্বশেষ পাওয়া অতিরিক্ত কোটার পাঁচ হাজার হজযাত্রী পাঠাতে নির্ধারিত দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা হাবের অ্যাকাউন্টে জমা নেয়া হয়েছিল। হজ-পরবর্তী সেই টাকা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে কিছু এজেন্সি। যদিও হাব নেতারা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এজেন্সিগুলোকে খরচের পর উদ্বৃত্ত হওয়া টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাওনা টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এজেন্সি মালিক গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, হাব যেখানে গত বছর পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে সামাল দিতে পারেনি, সেখানে ৯১ হাজার হজযাত্রীর টাকা জমা নিয়ে কিভাবে সামাল দেবে। তবে হাবের মহাসচিব শেখ আবদুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, গত বছরও পাঁচ হাজার হজযাত্রীর টাকা নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি। এবারো হাবের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হলে কোনো অনিয়মের আশঙ্কা নেই। যেহেতু এজেন্সিগুলো ব্যাংকিং চ্যানেলে খরচের টাকা সৌদি আরব পাঠাবে, সে ক্ষেত্রে হাব তাদের চাহিদানুযায়ী চেক দিয়ে দিলেই তো হবে।
এ দিকে প্রাক-নিবন্ধনকারী এজেন্সিগুলোর মধ্যে ৪০২টি এজেন্সি সর্বনি¤œ কোটা ১৫০ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন করতে পারেনি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক ওয়েবসাইটের দেয়া তথ্যানুযায়ী ১৪৬ জনের নিচে হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধনকারী ৪০২টি এজেন্সির হজযাত্রী ৩৫ হাজার ৬১৯ জন। অন্য দিকে ১৪৬ জনের ঊর্ধ্বে প্রাক-নিবন্ধনকারী ২৯১টি এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৫৮১ জন। সব মিলিয়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ১৯৭ জন। ১৫০ জনের কম হজযাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন করেছে এমন এজেন্সিগুলোকে নিজেদের মধ্যে গ্রুপ করে একটি লিড এজেন্সির মাধ্যমে তাদের হজযাত্রী পাঠানোর তালিকা দেয়ার জন্য এরই মধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী একটি এজেন্সি ১৫০ জনের নিচে হজযাত্রী পাঠাতে পারবে না। অন্য দিকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট এক লাখ ৩৪ হাজার ১৮০ জনের প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এক লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ জন এবং সরকারি ব্যবস্থাপনার তিন হাজার ৫১৯ জন। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মিলে সর্বমোট হজযাত্রী পাঠানোর কোটা এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজের প্রাক-নিবন্ধন চলবে। কোটার অতিরিক্ত হজযাত্রীদের আগামী বছরের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে জানানো হয়েছে।
[http://hajjsangbad.com][/size]
BRE SALAM SONY:
প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে[/color]
চলতি বছরের প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন শিগগিরই শুরু হচ্ছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত কোটার (৮৮ হাজার ২০০ জন) সবার পুলিশ ভেরিফিকেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে প্রাক-নিবন্ধিত এই হজযাত্রীদের তথ্য আগামী ১০ এপ্রিল পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কাছে দেয়া হবে। গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
ভারপ্রাপ্ত ধর্মসচিব আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে বৈঠকে হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার, মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ, আইটি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বজলুল হক বিশ্বাস এবং পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে হাব প্রাক-নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন করে রাখার জন্য প্রস্তাব করে। কিন্তু ধর্মসচিব নির্ধারিত কোটার মধ্যে যারা আছেন প্রাথমিকভাবে তাদের পুলিশ কিয়ারেন্সের সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে কোটা খালি হলে পরবর্তী তালিকা থেকে ভেরিফিকেশন করা হবে বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে হাবের সহসভাপতি ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, আমরা নিবন্ধিত সব হজযাত্রীর পুলিশ ভেরিফিকেশন করে রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলাম। কিন্তু আপাতত নির্ধারিত কোটার ৮৮ হাজার ২০০ জনের ভেরিফিকেশনের ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিলের মধ্যে এসবির কাছে হজযাত্রীদের তালিকা হস্তান্তর করা হলে ওই তালিকা অনুযায়ী সারা দেশে ভেরিফিকেশন শুরু হবে।
গতকালের বৈঠকে প্রাক-নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের মোবাইল ফোন নম্বর না দিয়ে এজেন্সির মোবাইল নম্বর দিয়েছে তাদেরকে শিগগিরই হজযাত্রীর মোবাইল নম্বর সংযোজন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতকালই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজবিষয়ক ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
১ লাখ ২৯ হাজারের প্রাক-নিবন্ধন : এ দিকে কোটা অতিক্রম করলেও হজের প্রাক-নিবন্ধনকার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গতকালও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধনকার্যক্রম চলে। তাতে দেখা যায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের ডাটা এন্ট্রির সংখ্যা : ৪০৯১। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজে গমনেচ্ছুর সংখ্যা : ৩৪৩৫ জন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুর ডাটা এন্ট্রির সংখ্যা : ১৩৭,১০৮। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত হজে গমনেচ্ছুর সংখ্যা : ১২৯,০১৩। ডাটা এন্ট্রিকৃত হজে গমনেচ্ছুদের মধ্যে পুরুষ ৯৪,১৪৪ জন এবং মহিলা ৪৭,০৫৫ জন। ডাটা এন্ট্রিকৃত হজে গমনেচ্ছুর মধ্যে ১৮ বছরের নিচে ১৩২৭ জন, প্রবাসী ১০৩২ জন, এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ১৩৮,৮৪০ জন। মোট প্রাক-নিবন্ধিত সরকারি ৩৪৩৫ + বেসরকারি ১২৯,০১৩= ১৩২৪৪৮ জন। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট হজযাত্রী পাঠানোর কোটা হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজের প্রাক- নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী কোটার অতিরিক্ত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে হাব। অতিরিক্ত হজযাত্রীদের হজে পাঠানোর জন্য সৌদি সরকারের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংগঠনটি
BRE SALAM SONY:
আগামী ১৯ শে এপ্রিলের হাবের জরুরী সভা ঢাকা হয়েছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সোহাগ মাহমুদ ,ঢাকা
হজসংবাদ.কম
x
Download PDF
হজের প্রাকনিবন্ধন নিয়ে জটিলতার প্রেক্ষাপটে হজ এজেন্সীজ এসাশিয়েশন অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগামী ১৯ শে এপ্রিল অফিসার্স ক্লাব এ এক জরুরী সভা ঢাকা হয়েছে ।
উক্ত সভায় হজের বিষয়ে জরুরী সিদ্ধান্ত গ্রীহিত হবে বলে জানাযায় ।
BRE SALAM SONY:
প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ থেকে ২০১৭ সালে হজে[/size][/color]
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
সোহাগ মাহমুদ ,ঢাকা
হজসংবাদ.কম
x
Download PDF
প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ থেকে ২০১৭ সালে হজে
এ বছর সৌদি আরবে হজ চুক্তি অনুযায়ী গাইড, মুনাজ্জেম, সরকারি খরচে হজ পালনকারীসহ ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এ সংখ্যা অতিক্রম করলে নিয়মমতো হজযাত্রীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর হজে যাবেন।
হজে যাওয়ার প্রথম ধাপে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ বছর থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু করা হয়েছে।
হজ ওয়েবসাইট www.hajj.gov.bd থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু হয়। প্রাক-নিবন্ধনের টাকা জমা সাপেক্ষে ব্যাংক প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক প্রাক-নিবন্ধন চলমান রয়েছে।
২৮ মার্চ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ৮৮ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
পুনরায় ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রাক-নিবন্ধন, চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত । ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ – ৮৮ হাজার ২০০) = ৪২ হাজার ৪৬১ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, কোটা পূরণ হলে প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর (২০১৭ সালে) হজে যাবেন। তিনি আরও জানান, ৮৮ হাজার ২০০ জনের মধ্যে যদি কেউ না যান, তবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুযোগ পাবেন।
এ বছর সৌদি আরবে হজ চুক্তি অনুযায়ী গাইড, মুনাজ্জেম, সরকারি খরচে হজ পালনকারীসহ ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে পারবেন। এ সংখ্যা অতিক্রম করলে নিয়মমতো হজযাত্রীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর হজে যাবেন।
হজে যাওয়ার প্রথম ধাপে প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। সৌদি ই-হজ সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য এ বছর থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু করা হয়েছে।
হজ ওয়েবসাইট www.hajj.gov.bd থেকে জানা যায়, গত ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন চালু হয়। প্রাক-নিবন্ধনের টাকা জমা সাপেক্ষে ব্যাংক প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর দেওয়া হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক প্রাক-নিবন্ধন চলমান রয়েছে।
২৮ মার্চ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ৮৮ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।
পুনরায় ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রাক-নিবন্ধন, চলবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত । ৯ এপ্রিল পর্যন্ত (১ লাখ ৩০ হাজার ৬৬১ – ৮৮ হাজার ২০০) = ৪২ হাজার ৪৬১ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছেন।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, কোটা পূরণ হলে প্রাক-নিবন্ধনকারীরা অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবেন এবং পরবর্তী বছর (২০১৭ সালে) হজে যাবেন। তিনি আরও জানান, ৮৮ হাজার ২০০ জনের মধ্যে যদি কেউ না যান, তবে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সুযোগ পাবেন।
BRE SALAM SONY:
নিবন্ধনের পরও ৪০ হাজার হজযাত্রীর হজ অনিশ্চিত
আজকালের মধ্যে পুনরায় শুরু হচ্ছে প্রাক-নিবন্ধন
চলতি বছর পবিত্র হজব্রত পালনে ইচ্ছুকদের প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২৩ মার্চ। ৩০ মে পর্যন্ত এটি চলার কথা থাকলেও নিবন্ধন শুরুর ৬ দিনের মধ্যেই বেসরকারি হজযাত্রীদের কোটাপূর্ণ হয়ে যায়। এ কারণে হজ অফিসের ওয়েবসাইট বন্ধ করে রাখা হয়। ফলে হজ পালনে আগ্রহী আরও প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে হজ এজেন্সি মালিকদের বৈঠকের পর ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় শর্তসাপেক্ষে কোটার অতিরিক্ত আরও ৪০ হাজার হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, দুয়েক দিনের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। তবে প্রাক-নিবন্ধনের এ সুযোগ পাওয়ার পরও এসব হজযাত্রীর হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। হজ এজেন্সি মালিকরা এ অনিশ্চয়তার বিষয়টি জানান। তাদের যুক্তি, সিরিয়ালের ভিত্তিতে ৯১ হাজার ৭৫৮ জনকে হজ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে। বেসরকারিভাবে আগে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের কেউ যদি সরকার নির্ধারিত হজ প্যাকেজের ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা ৩০ মে তারিখের মধ্যে পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে অতিরিক্ত কোটা থেকে নিয়ে পূরণ করা হবে। বাকি হজযাত্রীরা হয় টাকা ফেরত নেবেন, নয় তো আগামী বছর হজ পালনের সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ কোটার অতিরিক্ত ৪০ হাজার হজযাত্রী একটি শর্তের বেড়াজালে পড়েছেন; অনিশ্চিত থেকে যাচ্ছে এ বছর তারা হজ পালন করতে পারবেন কি না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আব্দুল জলিলও জানিয়েছেন, এবার দ্বিতীয় দফায় প্রাক-নিবন্ধনের পর যারা হজ পালনের সুযোগ পাবেন না, তাদের আগামী বছর (২০১৭) সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের জন্য পৃথক দুটি হজ প্যাকেজের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভায় মোট ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ জন বাংলাদেশিকে হজ পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব হজযাত্রীর হজ পালনের বিষয়ে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি সম্পন্ন হয়। হজ চুক্তির সময় ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৮ বাংলাদেশিকে হজ পালনের সুযোগ দিতে রাজকীয় সৌদি সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল ঢাকা থেকে। কিন্তু সৌদি সরকার ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ বাংলাদেশিকে হজ পালনের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে সরকারিভাবে ১০ হাজার এবং বেসরকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন রয়েছেন।
গত ২০ মার্চ সকালে সচিবালয়ের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জানান, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম সারা দেশে একযোগে শুরু হবে আরও ৩ দিন পর অর্থাৎ ২৩ মার্চ থেকে। যারা সরকারিভাবে যাবেন, তারা ৩০ হাজার এবং যারা বেসরকারিভাবে যাবেন তারা ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে প্রাক-নিবন্ধন করবেন।
ধর্ম সচিবের ঘোষণা অনুযায়ী ২৩ মার্চ থেকে প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু প্রাক-নিবন্ধন শুরুর ৬ দিনের মধ্যেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের জন্য ১ লাখ ১১ হাজার ২৯৫ জন হজ অফিসের অনলাইনে নাম-ঠিকানা দিয়ে ডেটা এন্ট্রি করেন। যার মধ্য থেকে ২৮ মার্চ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৮৮ হাজার ২০৪ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেন। বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা পূর্ণ হওয়ায় ওইদিনই ওয়েবসাইটে ডেটা এন্ট্রি বন্ধ করে দেয় হজ অফিস। আর এরপর থেকেই প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে না পারা হজযাত্রীরা হজ এজেন্সি অফিস, হজ অফিস ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি ইব্রাহিম বাহার ও মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, বেসরকারি হজযাত্রীর কোটা পূরণ হলেও আরও প্রায় ৪০ হাজার হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধনে অংশগ্রহণে আগ্রহী। এসব হজযাত্রী হাব অফিস, হজ অফিস ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাব নেতা ও হজ এজেন্সি মালিকদের বৈঠক হয়েছে। এরপরই সরকার কোটার অতিরিক্ত আরও ৪০ হাজার হজযাত্রীকে প্রাক-নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকালের মধ্যে হজ অফিসের ওয়েবসাইট খুলে দেওয়া হবে। এরপরই আগ্রহী হজযাত্রীরা ডেটা এন্ট্রি করবেন এবং ডেটা এন্ট্রি সম্পন্নকারী হজযাত্রীরা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করবেন।
Navigation
[0] Message Index
[#] Next page
Go to full version