Religion & Belief (Alor Pothay) > Hajj

হজের সকল সংবাদ [http://hajjsangbad.com]

<< < (2/2)

BRE SALAM SONY:
হজকে সৌদির প্রধান আয়ের উৎস করার চিন্তা[/b][/size][/color]
সৌদি আরব জ্বালানি তেল বাদ দিয়ে এখন পবিত্র হজকে দেশটির প্রধান জাতীয় আয়ের উৎসে পরিণত করার চিন্তাভাবনা করছে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দৈনিক সৌদি গ্যাজেটের বরাত দিয়ে রেডিও তেহরানের এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে। পবিত্র হজ খাত থেকে সৌদি আরব বছরে ৫৩০ থেকে ৬১০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ আয় করে থাকে। পবিত্র হজ যাত্রীদের সংখ্যার ওপর এ আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে।
এতে আরো বলা হয়েছে, অধিক সংখ্যক হজযাত্রীর কারণে তেল ও গ্যাসের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজস্ব আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে পবিত্র হজ এবং এটি একটি শিল্পখাতের মতোই গড়ে উঠেছে। পবিত্র হজের সময়ে প্রায় ২০ লাখ মুসলমান পবিত্র মক্কা ও মদিনা শরিফ ভ্রমণ করে থাকেন। ২০২০ সালের মধ্যে এ সংখ্যা বেড়ে ২৭ লাখে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

BRE SALAM SONY:
সরকারীভাবে হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে

hajj-3_MERCY_WIDE20160411085844

হাজীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনেছে সরকার। সরকারী ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে আগেই টাকা জমা দিয়ে কুরবানী দিতে পারবেন হাজীরা। এমন কিছু সংশোধনী এনে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে প্রায় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে যান। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে হজ ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনলেও হজ যাত্রীদের নানাবিধ সমস্যায় পড়ার উদাহরণও কম নয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ ব্যবস্থাপনায় আরো কিছু পরিবর্তন এনে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজ সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সরকারী ব্যবস্থাপনায় ছিলো ৫ হাজার, এটাকে করা হয়েছে ১০ হাজার। বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮৬৮ জন ছিলো। যেটাকে কমিয়ে সৌদি সরকার ধার্য্য করেছে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন। দুটো মিলিয়ে আমাদের ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৫৮ জন হয়েছে। সাকুল্যে হজযাত্রী কমে গেছে।

সংশোধীত আইনে প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে কমপক্ষে ১৫০ জন হজ যাত্রী নিতে হবে। হজ পালনের সময় প্রচন্ড গরমের কারণে আরাফাত ময়দানে থাকবে ওয়াটার কুলার।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, হজযাত্রীদের কুরবানীর ক্ষেত্রে আগে নিজেও করতে পারতো বা আইডিবি কুপনের মাধ্যমেও করতে পারতো। এখন এটাকে বাধ্যতামূলক করে বলা হয়েছে কুরবানীর সকল অর্থ অনলাইনে আইডিবির ব্যাংকের খাতে জমা করতে হবে। অর্থাৎ কারও ব্যক্তিগতভাবে কুরবানী করার সুযোগ এখন আর দেয়া হবে না। ওয়াটার কুলারের জন্য ১৫০ রিয়াল সৌদি সরকারকে দেয়া হবে।

এছাড়াও প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা।

BRE SALAM SONY:
সংশোধিত হজ নীতি ও প্যাকেজ অনুমোদন, হজযাত্রী কমলো ১২ হাজার

আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৬ সোমবার

সৌদি সরকারের বেঁধে দেওয়া কোটা অনুযায়ী ২০১৬ সালের হজ মৌসুমের জন্য বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সংখ্যা ১২ হাজার ১১০ জন কমিয়ে সংশোধিত হজ নীতি ও প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।সচিবালয়ে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৬ সালের জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজের সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।এবার সরকারিভাবে হজযাত্রীর সংখ্যা ৫ হাজার বাড়ালেও বেসরকারি পর্যায়ে হজযাত্রী ১৭ হাজার ১১০ জন কমিয়ে ফেলা হয়েছে। আর এখন থেকে কোনো এজেন্সির সর্বনিম্ন ১৫০ জন হজযাত্রী নাহলে সেই এজেন্সিকে গণ্য করা হবে না।সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা জাতীয় হজ নীতি ও হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়। তখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৮ হাজার ৮৬৮ জন বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন বলে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু নীতিমালা সংশোধন করে হজযাত্রীর সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজে যাবেন। মোট হজযাত্রী কমেছে ১২ হাজার ১১০ জন।তিনি বলেন, ‘সৌদিসরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে চলতি বছর থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা সরকারিভাবে বাড়ানো হয়েছে আর বেসরকারিভাবে কমেছে।’সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হজ নীতিতে এই সংশোধন আনা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। সব দেশের জন্যই সৌদি আরব এই পলিসি নিয়েছে।‘তিনি আরও বলেন, সংশোধিত প্রস্তাব অনুযায়ী এখন থেকে হজ এজেন্সিগুলোর কমপক্ষে ১৫০ হজযাত্রী থাকতে হবে। তা না হলে তাদের এজেন্সি হিসেবে গণ্য করা হবে না। আগে প্রতি ৫০ জন হজযাত্রী হলেই এজেন্সি হজ কার্যক্রম চালাতে পারত। কিন্তু এখন কমপক্ষে ১৫০ জন হজযাত্রী হতে হবে। এর কমে কোনো এজেন্সিই হজ কার্যক্রম চালাতে পারবে না।শফিউল আলম বলেন, অনুমোদিত নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, এখন থেকে কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোরবানি দিতে পারবে না। সৌদি সরকারের তত্ত্বাবধানে অনলাইনে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কোরবানি দিতে হবে। তা ছাড়া প্রতি বিমানে সর্বোচ্চ তিনজন মুয়াল্লিম হজে যেতে পারবেন।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছর আরাফার ময়দানে অতিরিক্ত গরমে অনেকে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন, কেউ কেউ মারা যান। এজন্য সৌদি সরকার জানিয়েছে, গরমের কষ্ট কমাতে ওয়াটার কুলারের ব্যবস্থা করবেন তারা। ওয়াটার কুলার বসাতে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য অতিরিক্ত দেড়শ সৌদি রিয়াল ব্যয় হবে। এই অর্থ হজযাত্রীদের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ থেকে বহন করা হবে। এজন্য অতিরিক্তি অর্থ নেওয়া হবে না।আবাসান, বাড়িভাড়া ও ক্যাটারিং খরচ বাবদ সব অর্থ অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য কোনোভাবে লেনদেন করা যাবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর হজ হতে পারে।

BRE SALAM SONY:
সউদী বাদশাহকে মিসরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান

মিসরের সবচেয়ে পুরণো ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় সউদী আরবের বাদশাহ সালমানকে আরব ও মুসলমানদের প্রতি তার অনুপম সেবার জন্য তাকে সন্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রিতে ভূষিত করেছে। লোহিত সাগরে দুইটি দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ রিয়াদের কাছে হস্তান্তরে কায়রোর অভিপ্রায়ের বিরোধিতা মিসরে বাদশাহ সালমানের ৫ দিনের সফরের চূড়ান্ত অনুষ্ঠানে কালোছায়া ফেলে। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রশংসাসূচক মানপত্রে বলেছে, বাদশাহ সালমান এক বৈশ্বিক ও কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। আরব ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণে তার প্রভাব ব্যাপক। মানপত্রে মিসর ও এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমর্থনের কথা প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে সিংহাসনে আরোহণকারী বাদশাহ সালমান মিসরের পার্লামেন্টে ভাষণ দেয়ার একদিন পর সোমবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সউদী ও মিসর সরকার এক ডজনের বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকও সাক্ষর করেছে। এসব চুক্তির আওতায় সউদী আরব মিসরে সাহায্য ও বিনিয়োগে শত শত কোটি ডলার ব্যয় করবে। এর একটি চুক্তিতে আকাবা উপসাগরের মুখে তিরান ও সানাফির দ্বীপ দুটির নিয়ন্ত্রণ সউদী আরবের কাছে হস্তান্তরে মিসরের অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। এই চুক্তির বিরোধিতাকারীরা সোচ্চার হতে সোসাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছে, তারা বলছে, এটা সাহায্যের বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে দেয়ার শামিল। এসব অভিযোগের পাল্টা অনেক জবাব মিসর সরকারের কাছে রয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ১৯৫০ সালে দ্বীপগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করতে রিয়াদই মিসরকে অনুরোধ করেছিল। ইসরাইলি হামলার আশঙ্কায় রিয়াদ কায়রোকে এই অনুরোধ করেছিল। কর্মকর্তারা কয়েক দশকের পুরণো কূটনৈতিক চিঠিপত্রের উদ্ধৃতি দিয়েছেন যাতে দেখানো হয়েছে যে মিসর দ্বীপগুলোর উপর সউদী মালিকানা স্বীকার করে। মিসরের শীর্ষ স্থানীয় সংবাদপত্র আল-আহরাম সোমবার তার সম্পাদকীয়তে বলেছে যে মিসর কোন অবস্থাতেই তার ভূখ-ের এক ইঞ্চি জমিও সমর্পণ করেনি। তবে সকল দলিলপত্র যখন রিয়াদের মালিকানা প্রমাণ করছে তখন নিজস্ব ভূখ-ের উপর নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে আমাদের বন্ধুদের অধিকার অস্বীকার করা হবে খুবই অযৌক্তিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আবু জেইদ বলেন, কায়রো কখনোই দ্বীপ দুটির উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করেনি। রোববার দিনের শেষে এক টিভি সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, দ্বীপ দুটিতে মিসরের উপস্থিতির অর্থ এই নয় যে তাদের উপর আমাদের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। দ্বীপ দুটি সউদীকে ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ মিসরের বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আকাবা উপসাগরের প্রবেশমুখে গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দ্বীপদুটি থেকে ইসরাইলের ইলাত ও জর্দানের আকাবা বন্দরে প্রবেশ কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দুটির মধ্যে তিরানের অবস্থান মিসর উপকূলের সবচেয়ে কাছে। এটা মিসরের শার্ম আল শেখের লোহিত সাগর অবকাশ কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধে ইসরাইল মিসরের কাছ থেকে দ্বীপগুলো দখল করে নেয়। তবে ১৯৭৯ সালে দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক শান্তি চুক্তির আওতায় সেগুলো মিসরের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী মিসর দ্বীপগুলোতে সামরিকবাহিনী মোতায়েন করতে পারেনা এবং তিরান ও মিসরের সিনাই উপকূলের মাঝামাঝি এই সংকীর্ণ জাহাজ চলাচল পথে অবাধ নৌচলাচল নিশ্চিত করতে কায়রো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পেছনে অন্যতম কারণ ছিল এই নৌপথটি বন্ধ করে দেয়ার মিসরের জাতীয়তাবাদী প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসেরের সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লোহিত সাগরে ইসরাইলের প্রবেশের অধিকার অস্বীকার করা হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন ৬৭ সালের যুদ্ধের পেছনে এটা ছিল বড় কারণ। ইসরাইল মিসরের কাছে তিরান দ্বীপ হস্তান্তর করার পর একে একটি প্রাকৃতিক আশ্রিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে এটি সমুদ্রে ডাইভিংয়ের একটি জনপ্রিয় স্থান হয়ে উঠে। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল জুবেইর মিসরের পত্রিকা সম্পাদকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সউদী আরব এ দুটি দ্বীপ নিয়ে মিসরের দেয়া সকল আইনগত ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করবে। ইসরাইলের সঙ্গে সউদী আরবের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং ইসরাইলীদের প্রতি রিয়াদের অঙ্গীকার কিভাবে রক্ষা করা হবে তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিস্কার নয়। ইসরাইলী পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মিসর-সউদী চুক্তি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি। Ñসূত্র : নিউজ রিপাবলিক

Copyright Hajjsangbad.com

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version