তামাকজাত পণ্যের মোড়ক

Author Topic: তামাকজাত পণ্যের মোড়ক  (Read 482 times)

Offline Anuz

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 1988
  • জীবনে আনন্দের সময় বড় কম, তাই সুযোগ পেলেই আনন্দ কর
    • View Profile
তামাকজাত পণ্যের মোড়ক
« on: April 23, 2016, 09:02:03 AM »
গত ১৯ মার্চ থেকে দেশের সব তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট, মোড়ক, কার্টন বা কৌটার গায়ে শতকরা ৫০ শতাংশ জুড়ে রঙিন ছবি ও লেখা-সংবলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা প্রজ্ঞার করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৭৫ শতাংশ তামাকজাত পণ্যে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১৯ মার্চের পর থেকে মোড়ক বা প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাড়া তামাকজাত কোনো দ্রব্য বিক্রয় কিংবা বাজারজাত করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিধিমালা অনুযায়ী, তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে সাতটি ও ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে দুটি সতর্কবাণী মুদ্রণ করতে হবে। আইনের এই ধারা কেউ লঙ্ঘন করলে অনূর্ধ্ব ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু অনেকেই যে এই আইনের তোয়াক্কা করছেন না, তা বোঝা যায় প্রজ্ঞার গবেষণার ফল দেখে।

প্রজ্ঞা দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে মোট ১ হাজার ৪৮৫টি সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুলের প্যাকেট পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, প্রায় ৭৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্যাকেটে স্বাস্থ্য সতর্কবাণী নেই। ৮৮টি বিড়ির প্যাকেটের একটিতেও সতর্কবাণী নেই। সিগারেট উৎপাদনকারী ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানই স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ছাড়া সিগারেট বাজারজাত করছে। ১০০টি জর্দা কারখানার মধ্যে মাত্র ১৪টি ও ১৩টি গুল কারখানার মধ্যে মাত্র একটি সতর্কবাণী প্রকাশ করেছে।

বিড়ি-সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীর চেয়ে ছয়-আট বছর আগে মারা যায়। প্রতিবছর তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ ক্যানসারসহ আটটি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকজাত পণ্যের গায়ে যদি সতর্কবাণী থাকে, তাহলে মানুষজন কিছুটা হলেও এর সেবন করা থেকে দূরে থাকে।

কাজেই যেসব প্রতিষ্ঠান তাদের তামাকজাত পণ্যের গায়ে সতর্কবাণী লিখছে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে আইন আরও কঠোর করা হোক।a
Anuz Kumar Chakrabarty
Assistant Professor
Department of General Educational Development
Faculty of Science and Information Technology
Daffodil International University