সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ কোটি টাকা কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে দায়িত্বে অবহেলা ও মানুষের জীবনরক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা-ও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ রবিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জের ডিসি, মধ্যনগর থানার ওসি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুনামগঞ্জ শাখার জিএম এদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল সুনামগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে রঞ্জিত সরকার, রিতা সরকার, জগদীশ সরকার ও সোনালী দাস নামের চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। বিষয়টি নিয়ে একাধিক জাতীয় পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এই প্রতিবেদন পড়ে জনস্বার্থে গত ২ মে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, বাড়ির উঠানে বসে চা পান করছিলেন রণজিৎ সরকার। এ সময় পল্লী বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ তার ছিঁড়ে তার গায়ের ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি নিহত হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে একে একে বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার তদন্ত না করে ওই চারজনকে দাহ করা হয়। বিষয়টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পর গত ২ মে হাইকোর্টের আইনজীবী চঞ্চল বিশ্বাস একটি রিট করেন। আজ চঞ্চলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অমিত দাসগুপ্ত ও ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার। শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
- See more at:
http://www.kalerkantho.com/online/Court/2016/05/08/356024#sthash.q3oEgCK6.dpuf