(প্রিয়.কম)- গরমে ঘাম হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ঘামে বিশ্রী দুর্গন্ধ থাকে। সুতির কাপড় পরে এবং ভাল মানের ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করেও এই দুর্গন্ধ দূর করা সম্ভব হয় না। যার কারণে পড়তে হয়ে অনেক বিব্রতকর সমস্যায়। মূলত এই দুর্গন্ধের জন্য জন্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী, যা ঘাম থেকে সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে এই ঘাম থেকে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন রোগের। ডিওডোরেন্ট একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে তারপর আবার ঘামের প্রকট হয়ে উঠে ঘামের দুর্গন্ধ। দেখে নিন কিছু প্রতিকার।
১। বেকিং সোডা
এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি হাতের বগলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে, যেখানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থানে লাগান। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর গোসল করুন। এটি দিনে একবার করে কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
২। লেবুর রস
খুব সহজ এবং ঝামেলাবিহীন একটি উপায় এটি। লেবু অর্ধেকটা কেটে নিন। এটি দিয়ে দুর্গন্ধের স্থানে ঘষুন। এছাড়া লেবুর রস বের করে নিন। একটি তুলোর বল দিয়ে এটি বগলে লাগান। লেবুর রসে অ্যালার্জি থাকলে এতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শেভিং করার পর লেবুর রস ব্যবহার করবেন না। এটি জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
৩। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতুলনীয়। এটি শরীরের পিএইচ লেভেল ঠিক রেখে ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেয়।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারে একটি তুলোর বল ভিজিয়ে নিন। এবার এটি ঘাম হওয়ার স্থানগুলোতে ঘষুন। ২ থেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর গোসল করুন। এটি সকালে এবং রাতে একবার করুন। এছাড়া কুসুম গরম পানিতে এক কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসল করুন। দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যে ঘামের দুর্গন্ধ দূর হয়ে গেছে।
৪। টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। এক আউন্স পানিতে দুই ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ঢুকিয়ে ব্যবহার করুন।
৫। টমেটো
৭/৮ টি টমেটোর রস বের করে নিন। এবার এক বালতি পানিতে টমেটোর রস দিয়ে দিন। এই পানি দিয়ে গোসল করুন। এটি প্রতিদিন করুন। কিছুদিনের মধ্যে ঘাম হতে দুর্গন্ধ হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতিদিন দুই গ্লাস টমেটোর জুস খান, এটিও ঘামের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।
টিপস:
১। সুতি এবং আরামদায়ক কাপড় পরিধান করুন।
২। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।
৩। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি এবং ফল রাখুন।