গাজর
গাজরে বিটা ক্যারোটিন নামে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা চোখের জন্য ভালো। খাবারটি চোখের জ্যোতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মিষ্টি আলুতেও যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। চোখের সুরক্ষায় এটিও খাওয়া ভালো।
সবুজ শাকসবজি
সুস্থ থাকতে সবুজ শকসবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও এই খাবারটি প্রয়োজন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লুটিন রয়েছে যা কোনো নীল আলো বা লাইটকে চোখের রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলা থেকে বিরত রাখে।
টমেটো
টমেটোতে লাইকোপিন থাকায় তা অতিরিক্ত আলোতে কাজ করার ফলে যে সমস্যা হয় তা কমায়। চোখের জন্য নানা প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন আঁশ, খনিজ ক্যারোটিন – সবই রয়েছে রসালো টমেটোতে।
মুরগির মাংস
মুরগির মাংসে প্রচুর জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। কাজেই এটিও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা ভালো।
কমলালেবু
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ভিটামিন সি চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে যথেষ্ট পরিমাণে জিংক থাকায় তা চোখকে ‘মাসকুলার ডিজেনারেশন’ সমস্যা থেকে বাঁচায়৷ এ সমস্যা সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেমন-স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকরেল, কড, টুনা প্রর্ভতি মাছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যেগুলো চোখের জন্য বেশ উপকারী। এসব মাছ চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং চোখকে নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
রঙিন ফল ও সবজি
হলুদ, সবুজ, কমলা রঙের, অর্থাৎ গাজর, কমলা, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ভুট্টা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের ফলমূল ও শাকসবজিতে ভিটামিন এ রয়েছে। এগুলো রাতকানা রোগ থেকে চোখকে সুরা দেয়। কাজেই এগুলোও খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা চোখের জন্য ভালো। বাঁধাকপি দামে সস্তা এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় তাছাড়া সহজে নষ্ট হয় না।