Health Tips > Psychological Disorder

কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারে

<< < (2/2)

Jannatul Ferdous:
কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের পরিণতি

সময়মতো ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিতে পারলে শিক্ষা সামাজিক দক্ষতা সহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পারফরমেন্স নিম্নগামী হতে থাকে । তাছাড়া সামাজিক ভাবে তারা নিগৃহিত এবং ধীরে ধীরে একা হয়ে যায়। নেশা কিংবা যেকোনো ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রচুর থেকে যায়। দিন দিন অপরাধ প্রবণতা বাড়তেই থাকে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ঘটনার কথা আমরা জানি, যার পিছনে কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের মতো সমস্যা বিদ্যমান থাকার কথা সহজেই অনুমান করা যায়।
তবে উপযুক্ত চিকিৎসা ও সহযোগিতা পেলে তারা অবশ্যই পূনরায় সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে। সবার সমস্যা সব সময় একই রকম হবে এমন কোনো কথা নেই। সমস্যার তীব্রতাও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সমস্যা যত কম বয়সে শুরু হয় তীব্রতা সাধারণত তত বেশি হয়।

Jannatul Ferdous:
চিকিৎসার অন্তরায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা

চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ এবং অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি। অভিভাবকরা অনেক সময় ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। তারা কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ছেলে মেয়েটির কথায় বিভ্রান্ত হয়ে অনেক সময় মাঝ পথেই চিকিৎসা থামিয়ে দেন। এমনকি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কিনা সে ব্যপারেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আক্রান্তরা বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি ও বাহানা ধরে অভিভাবকদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও প্রতারণা করে। তারা এমনকি আত্মহত্যার মতো হুমকি দিয়ে থাকে। সুতুরাং চিকিৎসার শুরু থেকেই বিষয়গুলি ভালো করে বুঝে নেয়া প্রয়োজন।

Jannatul Ferdous:
চিকিৎসা

বেশ কিছুদিন যাবত কোনো একটি অসংগতি বা অগ্রহণযোগ্য আচরণ কোনো শিশু কিশোরের মাঝে লক্ষ্য করলে অবশ্যই সেটিকে ভালোভাবে আমলে নিতে হবে। পিছনের কারণটি বুঝার চেষ্টা করতে হবে। শারীরিক বা জেনেটিক কোনো কারণ আছে কিনা সেসব ভালোভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। যদি জেনেটিক, এডিএইচডি, বুদ্ধির সমস্যা বা শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা, কিংবা অন্য কোনো মানসিক রোগ থেকে থাকে তবে সেসবের দ্রুত চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। যদি এসব সমস্যা না থাকে তবে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলতে হবে।
পিছনের কারণগুলো দ্রুত সনাক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। আক্রন্ত মানুষটি, অভিভাবক ও চিকিৎসক তিন পক্ষকেই সমস্যার কারণের বিষয়ে একটা নির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা তৈরি করতে হবে।
চিকিৎসার টার্গেট শুধু রোগী নয় বরং অভিাভাবক এবং রোগী দুদিকেই হতে হবে। উন্নত বিশ্বে বর্তমানে এই চিকিৎসার জন্য মা-বাবা বা অভিভাবকদেরকে, অভিভাবকত্ব বিষয়ে ট্রেনিং করানো হয়। যারা এমন সমস্যাগ্রস্ত তাদেরকেও এনগার ম্যানেজমেন্ট বা রাগ নিয়ন্ত্রণ, সোশ্যাল স্কিল ট্রেনিং বা সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির ট্রেনিং এর মতো ট্রেনিং করানো হয়।
মূল চিকিসায় কিছু ওষুধের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে এন্টি ডিপ্রেসেন্ট এবং মুড স্ট্যাবিলাইজার বেশ উপকারী। তবে সাইকোথেরাপী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইকোথেরাপীর পাশাপাশি পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীও বিভিন্ন নিয়ম কানুনের গুরুত্বও কম নয়। দেখা গেছে অভিভাবকরা যদি আক্রান্ত ছেলে কিংবা মেয়েটিকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে উৎসাহিত করে তবে সেটা কাজেই লাগে। সেসবের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

Jannatul Ferdous:
সতর্কতা এবং কন্ডাক্ট ডিজঅর্ডারের প্রতিরোধ

ছোটকাল থেকেই বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ করছে কিনা সেটা খেয়াল করা উচিত। অভিভাবকরা অনেক সময় সেটা লক্ষ্য করেননা। সময় কিংবা বয়সের চেয়ে বেশি কিছু আশা বা প্রত্যাশা করে ফেলেন। ছেলে কিংবা মেয়েটির বয়সের সাথে সম্পর্ক করে (এইজ এপ্রোপ্রিয়েট বিহেভিয়ার) কোন বিষয়ে কতটুকু আচরণ বা চিন্তা ভাবনা গ্রহণযোগ্য হবে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে, কোনো একটা আচরণ খারাপ লাগলেও সেটা ইতি বাচক হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। আবার সম্পর্কযুক্ত না হলে, ভালো লাগলেও সেটা রোটিন করে পরিবর্তনের চেষ্টা করা উচিত।
শিশু কিংবা কিশোরদের মাঝে যাতে কন্ডাক্টের সমস্যা দেখা না দেয় তার জন্য শাস্তি এবং পুরস্কার প্রদান পদ্ধতিটি জেনে রাখা উচিত। এসব বিষয়ে নিজের ইচ্ছা বা মানসিক অবস্থার উপর ভিত্তি না করে, শিশুটির বয়স ও মানসিক দিক নজর দেয়া উচিত।

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version