প্রিয় ব্যবস্থাপক-
সাধ ও সাধ্যের অতিরিক্ত কাজ দিয়ে কাউকে ব্যর্থ হতে দেবেন না,
বরং কাজে সফল হতে সহযোগিতা করুন, কাজের স্বীকৃতি দিন-
দেখবেন কঠিন কাজের ঝুঁকি নিতে সে প্রস্তুত হয়ে গেছে।
দোষ খুঁজে বেড়াবেন না, ভালো কাজটিকে হাইলাইটস করে কাজে উৎসাহিত করুন,
মনে রাখবেন-
জনশক্তির মোটিভেশনের দায়িত্বটা আপনারই।
সিদ্ধান্তের ক্ষমতাকে সবসময় কেন্দ্রীভুত করবেন না, মাঝে মাঝে তা বন্টন করুন,
কারণ
একটি কাজের সফল পরিসমাপ্তিই তো আপনার টার্গেট।
শুধু কর্মকর্তা নয়, কর্মীদের সাথেও মাঝে মাঝে পরামর্শ করুন-
জানেন তো, পরামর্শই কাজের শ্রেষ্ঠ মোটিভেশন।
অধঃস্থনদের কিছু কিছু ভুলত্রুটি ওভারলুক করুন-
সব বিষয়ে সংশোধনী দিতে গিয়ে, নিজে হাল্কা হবেন না।
তাদেরকে ভালোবাসুন, তবে ব্যক্তিত্বের ভয়টুকু অক্ষুন্ন রেখে-
অন্যথায় ভদ্র মানুষ হতে পারবেন, ভালো প্রশাসক নয়।
আদেশ ও আনুগত্যের ভারসাম্য রক্ষা করুন
আনুগত্য করার পরিবেশ বজায় রাখুন,
কোন বিষয় নিয়ে বেশি কচলাবেন না-
জানেন তো, এতে লেবু তিতা হয়ে যায়।
অধঃস্থনদের অভাব অভিযোগ ও কথা মনযোগ দিয়ে শ্রবন করুন-
নিশ্চয় জানেন, এই শ্রবনের মাঝেই অর্ধশত ভাগ সমাধান লুকায়িত।
কখনো প্রান্তিক কথা বলে, আলোচনার দরজা রুদ্ধ করবেন না-
কথা বলা ও শুনার পরিবেশ বজায় রাখুন,
সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
অধিনস্থদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সেবা গ্রহন করা থেকে বিরত থাকুন-
মনে রাখবেন, সেবা গ্রহণকারী হাত কখনো তর্জনী তুলে কথা বলতে পারেনা।
উপহার বা হাদিয়ার উদ্দেশ্য বুঝার চেষ্টা করুন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত যে উপহার, তা বর্জন করুন-
উপহার গ্রহন করার আগে মনকে জিজ্ঞেস করুন ভালোবাসার প্রশ্নে তা উত্তীর্ণ কিনা।
অধঃস্থনদের কারো কারো মাঝের সুসম্পর্ককে সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখবেন না, গ্রুপিং মনে করবেন না, বরং আপনিও ঐ গ্রুপের একজন সদস্য হন,
দেখবেন-
আপনার সমস্ত শংকাকে ভুল প্রমান করে প্রতিষ্ঠানে মাত্র একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যার গ্রুপ লিডার আপনি।
সর্বোপরি ৮ ঘন্টা আপনার কাছে থাকা এই মানুষগুলোকে ২৪ ঘন্টার একজন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করুন,
দেখবেন-
আপনি দক্ষ প্রশাসকই নন, একজন প্রিয় অভিভাবকও বটে।
collected