বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রকাশিত আলোকচিত্রে সেকালের ঢাকা অ্যালবামে ১৮৮০ সালের মিটফোর্ড হাসপাতালের এ ছবিটি পাওয়া গেল। তবে কোনো আলোকচিত্রীর নাম নেই। ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আধুনিক হাসপাতাল এই মিটফোর্ড। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়ায় বলা হয়েছে, ঢাকার কালেক্টর এবং পূর্ব বাংলা ও আসামের আপিল বিভাগের বিচারক স্যার রবার্ট মিটফোর্ড যখন ঢাকায়, তখন কলেরা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু চিকিৎসা-সুবিধা ছিল অপর্যাপ্ত। রবার্ট মিটফোর্ড জনগণের দুর্দশা দেখে মর্মাহত হন। ইংল্যান্ডে মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর সম্পত্তির বেশির ভাগই একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য উইল করে দেন। এর পরেই বর্তমান স্থানে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর আগে ওই জায়গায় ওলন্দাজ কুঠি ছিল। চার বছর টানা কাজের পর ১৮৫৮ সালের ১ মে মিটফোর্ড হাসপাতাল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ১৯১৭ সালে এটি প্রথম শ্রেণির হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মিটফোর্ড হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ১৮৭৫ সালে ঢাকা মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ সালে এটি মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত হয় এবং নবাব পরিবারের অবদানের কথা বিবেচনা করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নামেই মেডিকেল কলেজটির নামকরণ করা হয়। পুরোনো ছবিটি দেখে কেউ যদি এখন বুড়িগঙ্গার তীরে যান, এখনো নদীর পাড়ে বাঁধ ও রাস্তার পাশে মিটফোর্ড হাসপাতাল দেখতে পাবেন। তবে আগের সেই ভবনের বদলে উঠেছে বহুতল ভবন। ৮২টি শয্যা নিয়ে শুরু হওয়া মিটফোর্ড হাসপাতালে এখন প্রতিদিন হাজার খানেক লোক চিকিৎসা নেয়
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/884326/সেই-ওলন্দাজ-কুঠিই-এখন-মিটফোর্ড-হাসপাতাল