বিশ্বে স্থূলতাও বাড়াচ্ছে অপুষ্টির হার

Author Topic: বিশ্বে স্থূলতাও বাড়াচ্ছে অপুষ্টির হার  (Read 1071 times)

Offline imran986

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • If you don't try, Allah will not help you too
    • View Profile
বিশ্ব জুড়ে অপুষ্টির হার বাড়ছে। এর জন্য অনাহারের পাশপাশি স্থুলতাও দায়ী বলে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে।

বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ অতিরিক্ত ওজন জনিত কারণে অপুষ্টিতে ভুগছে। সেসঙ্গে তাদের রক্তে চিনি, লবন ও কোলেস্টেরলের পরিমাণও অনেক বেশি।

বিবিসি জানায়, গ্লোবাল নিউট্রিশন রিপোর্ট-২০১৬ এ বলা হয়েছে, ৪৪ শতাংশ দেশে এখন অপুষ্টি ও স্থুলতা উভয়ই ‘খুব মারাত্মক পর্যায়ে’ বিরাজ করছে।

১২৯টি দেশে গবেষণা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, কোথাও কোথাও তিন জনের মধ্যে একজনই অপুষ্টিতে ভুগছে।

গবেষকরা বলেন, “অপুষ্টিতে ভোগা এখন নতুন স্বাভাবিক অবস্থা হিসেবে গণ্য হচ্ছে।”

সাধারণত শিশুরা অপুষ্টিতে বেশি ভোগে। অনাহার, শারীরিক বিকাশে সমস্যা ও সংক্রমণজনিত কারণে শিশুদের অপুষ্টিতে ভুগতে বেশি দেখা যায়।

এটা এখনও বড় সমস্যা, যদিও এক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বরং বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা স্থুলতাকে ‘বিশ্বের জন্য বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

গবেষকরা বলেন, বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে এবং প্রায় প্রতিটি দেশে স্থুলতার হার বাড়ছে।

গবেষকদের একজন অধ্যাপক করিন্না হককেস বলেন, “আমাদের গবেষণায় পুষ্টিহীনতা সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারণা কি তা পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।”

“পুষ্টিহীনতা বলতে সাধারণত খারাপ পুষ্টি বোঝানো হয়। এর অর্থ একজন যে যথাযথভাবে পুষ্ট নয়। এটা হতে পারে আপনি খুবই কৃশ এবং আপনার শরীর যথেষ্ট দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে না। অথবা হতে পারে আপনার ওজন অতিরিক্ত অথবা আপনার রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি যেটার কারণে আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।”

এখন অনেক দেশই শারীরিক বিকাশ জনিত সমস্যা এবং শিশুদের কম ওজন জনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠার লক্ষ্য পূরণের পথে রয়েছে। কিন্তু খুব কম দেশেই স্থুলতা প্রতিরোধে এবং এ সংক্রান্ত রোগ যেমন হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোর পথে অগ্রগতি হয়েছে।

বরং এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু যাদের অতিরিক্ত ওজন তারা ওই বয়সী শিশু যাদের ওজন কম তাদের তুলনায় বেশি অপুষ্টিতে ভুগছে।

গবেষকদের একজন লরেন্স হাদদাদ বলেন, “এখন আমরা এমন একটি বিশ্বে বসবাস করছি সেখানে অপুষ্টিই নতুন স্বাভাবিক অবস্থা বলে গণ্য হচ্ছে।”

http://bangla.bdnews24.com/health/article1168104.bdnews
...........................
Md. Emran Hossain
Coordination Officer
Department of Nutrition and Food Engineering (NFE)
Daffodil International University