পৃথিবীতে প্রত্যকে সম্পর্কেরই চাওয়া পাওয়া থাকে। আমার মতে ভালোবাসাগুলোর মধ্যেই চাওয়া পাওয়া অতি আবশ্যিক। যেমন ধরুন, বাবা-মা তার সন্তানকে ভালোবাসে তার সন্তানের কাছ থেকে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। ঠিক একটা বন্ধু কিংবা প্রেমিক/প্রেমিকা কিংবা ভাই-বোন এমনকি কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তাই। প্রতিষ্ঠানেরটা বুঝিয়ে বলছি। একটা বাবা-মা এতো কষ্ট করে সন্তানদের লেখা পড়া করান কেন? কারণ একটা সময়ে এসে যেন সন্তান বাবা-মার চাহিদাগুলো পূরণ করেন তাই। ঠিক একটা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তাই। একজন মানুষ অতি ভালোবাসে তার বন্ধুকে চাহিদার তুলনায় বেশি প্বাশে থাকছে কিংবা তাকে সময় দিচ্ছে কিংবা তাকে সাহায্য করছে। কিন্তু বিনিময়ে সে তার বন্ধুর কাছ থেকে অবহেলিত হচ্ছে। ধরুন আপনার ব্যাক্তিগত সময়ের বেশিরভাগ সময়ই আপনি কোন বন্ধুকে দিচ্ছেন অথছ সেই বন্ধু আপনাকে কিছুই দিচ্ছে না। বরংচ আপনার সলিড পাওনা গুলো থেকেও আপনাকে বঞ্চিত করছে। আপনি সে বন্ধুকে আর ভালোবাসবেন? কখনই না। একদিন, দুইদিন, তিনদিন এমন কি এক বছর, পাঁচ বছর, বিনা কারণে কাছে থাকতে পারবেন একটা সময় বেশি অবহেলিত হতে হতে আপনার বিরক্ত লাগবে। যদি আপনাকে আপনার বন্ধু প্রতিদানে কিছুই দেয় তখন সে আপনার মতো ডেডিকেটেড বন্ধুকে হারাবে। তাই ভালোবাসার মধ্যে চাওয়া আর পাওয়াটা অতি জরুরী। আপনার যদি আপনার বন্ধুর প্রতি অতি ভালোবাসা থাকে আর বন্ধু যদি আপনার সেই ভালোবাসা সামান্য দামও দেয় তাহলেও আপনি সন্তুষ্ট হবেন, আর যদি সামান্যটুকুও না পান তাহলে আপনাদের বিচ্ছেদ ঘটবে। আসলে ভালোবাসার চাওয়া পাওয়ার মাঝে সমঝোতা না আসলে বিচ্ছেদ অনিবার্য। সেটা মানুষই হোক আর পশুই হোক আর কোন প্রতিষ্ঠানই। (Roni, 2016)