ইদানীং অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক ব্যক্তিদেরও হৃদরোগ হচ্ছে। ধারণা করা হয়, বাংলাদেশের ২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হৃদরোগে ভুগছেন। বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পরিবারে অকালে প্রিয়জন হারানোর কারণ এই হৃদরোগ। তাই হৃদরোগ ঠেকাতে চাই সুস্থ জীবনাচরণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। আর তা শুরু করতে দেরি করলে চলবে না। বয়স ৩০ হলেই এ বিষয়ে সচেতন হোন।
সম্পৃক্ত চর্বি খাওয়া একেবারেই কমিয়ে দিন। সম্পৃক্ত চর্বি হচ্ছে ঘি, মাখন, ক্রিমযুক্ত খাবার, খাসি ও গরুর মাংসের চর্বি, নারকেল তেল বা পাম তেলে রান্না করা খাবার। ফাস্টফুড ও বেকারির খাবারও বর্জন করুন। অতিরিক্ত চিনি ও শর্করা দেহে চর্বি হিসেবেই জমা হয়। তাই মিষ্টি দ্রব্য বেশি না খাওয়াই ভালো। কার্বোনেটেড পানীয়, কৃত্রিম জুস, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদি চলবে না। রান্নায় দৈনিক পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ নয়। আলাদা বা পাতে লবণ নিষেধ। মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন না খাওয়াই ভালো। এটি হৃৎস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া চিরদিনের জন্য ত্যাগ করুন ধূমপান ও মদ্যপান।
আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন তাজা ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্যের তৈরি খাবার। মাছ খাবেন আমিষের উৎস হিসেবে। ননিহীন দুধ খাওয়া ভালো। ভিটামিন সি যুক্ত ফলমূল বেশি করে তালিকায় রাখুন। যেমন পেয়ারা, আমড়া, জাম্বুরা, আমলকী, লেবু, জলপাই, পাকা পেঁপে ইত্যাদি। প্রতিদিন অন্তত পাঁচ রকমের ফলমূল, শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।