ডেনিম পোশাক তৈরিতে সক্ষমতা অর্জন করায় বাংলাদেশে উৎপাদিত ডেনিম পণ্যের কদর বাড়ছে বিশ্ববাজারে। ফলে গত এক দশকে দেশে ৩০টি অধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডেনিম কাপড়ের কারখানা স্থাপিত হয়েছে। রপ্তানি আয়ও বেড়েছে।
ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে দুই দিনব্যাপী ডেনিম অ্যান্ড জিন্স বাংলাদেশ শো’র ষষ্ঠ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁরা এসব কথা বলেন।
‘ভিন্টেজ রিকল’ থিম নিয়ে আয়োজিত ডেনিম পণ্যের এই প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম অর্চটাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সহসভাপতি ফজলুল হক, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহসভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী।
বর্তমানে বাংলাদেশের ডেনিম রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে এ মুহূর্তে জিন্সের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের ডেনিম উৎপাদকরা চীনের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি ডেনিম পণ্য ইউরোপে সরবরাহ করছে।
২০২০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে ডেনিমের চাহিদা হবে ৬৪ বিলিয়ন ডলার। আর এর ৭০ শতাংই জোগান দেবে এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলো। সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে বাংলাদেশ ডেনিম উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে এশিয়ার মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে ডেভরিম অর্চটাক বলেন, ‘বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।’
আতিক-ই-রাব্বানী বলেন, ‘ডেনিমের হাল ফ্যাশনে বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়তই বৈচিত্র্য আসছে। চীনের বাজারে ডেনিম পণ্যের দাম বাড়ার ফলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ডেনিমই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে। এ ছাড়া ইউরোপের বাজারে দ্বিতীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ডেনিম পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ তৃতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ।’
বাংলাদেশের ডেনিম পণ্যের বিশ্ববাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক পুনিথ গয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে তাঁদের ৫০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান বস্ত্র খাতের কাঁচামাল সরবরাহ করে। তারা বাংলাদেশে রপ্তানি করে প্রায় ১০ কোটি ডলার। ভারতের শীর্ষস্থানীয় এই গ্রুপের বৈদিশিক বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি ডলার ।
বাংলা আ্যাপারেল
অক্টোবর ০৯, ২০১৬