র্যাশের অন্য নাম ডারমাটাইটিস। অর্থাৎ কোন কিছুর প্রতিক্রিয়ায় ত্বকের ফোলা ও রং বদল হয়। র্যাশ লালচে, শুকনো, খসখসে হতে পারে। হতে পারে জল ভর্তি টলটলে বা চামড়ার ক্ষত বা ঘা ইত্যাদি রুপে।
কিন্তু এর সঙ্গে জ্বর থাকলে তা মারাত্মক কোন রোগের পূর্বলক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেমন আর্টিকেরিয়া, যা অ্যালার্জির কারন বা খাবার, ঔষধ বা পোকামাকড়ের কামড়জনিত কারনে রক্তে প্রচুর হিস্টাসিন নামের রাসায়নিক উৎপাদনের জন্য হয়ে থাকে। আবার শিশুদের জলবসন্ত, হাম, রুবেলা, ইত্যাদি নানা সংক্রমণে বিভিন্ন ধরনের র্যাশ হতে পারে। তবে জ্বর বা সংক্রমণ ছাড়া র্যাশ সাধারনত ত্বকের কোন অ্যালার্জি বা প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ।
র্যাশের নানা রুপ
একজিমা শিশুদের প্রায়ই হয়। এর অন্য নাম এটোপিক ডারমাটাইটিস। কনুই, হাটু এসব শুকনো জায়গায় সচরাচর দেখা যায়। তবে গুরতর হলে লাল, খসখসে বা ফোলা ত্বক নিয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।
** কেমিক্যাল সোপ, ডিটারজেন্ট এসবের সংস্পর্শে লাল, ফোলা চুলকানো ত্বক নিয়ে ডারমাটাইটিস হতে পারে।
** রাবার, হেয়ার ডাই, নিকেল ব্যবহৃত জুয়েলারি থেকেও প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ত্বকের সংস্পর্শেে এলে খসখসে লালচে ক্ষত দাগের ত্বক দেখা যায়।
কি করা উচিত
যে ধরনের র্যাশই হোক, তা বেশি চুলকানো ঠিক নয়, তাতে চামড়ার ক্ষত বা সংক্রামন হয়। প্রয়োজনে চুলকানির ঔষধ খেতে হবে। চিকিৎসক বা ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ইমোলিয়েন্ট বা আদ্রতা রক্ষাকারী ময়েশ্চারাইজার মাখলে ত্বকে পানি ধরে রেখে তা নরম কোমল রাখবে।
অ্যালার্জির কারনে অনুসন্ধান প্রয়োজন। যাতে পুনরাবৃত্তি রোধ করা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু এড়িয়ে চলা ভালো।
একজিমা হলে অতি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়।
কড়া সূর্যলোকে বেড়ে গেলে সানস্ক্রিন ক্রিম লাগানো ভালো।
From: Cardio News (Cardio Care Specialized Hospital)