যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তৃতীয় ও শেষ বিতর্ক হয়ে গেছে। দ্বিতীয় বিতর্কের তুলনায় এই পর্বে অনেকটা শান্তভাবেই মুখোমুখি হয়েছেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কয়েকটি বিষয়ে দুজনের মধ্যে বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়।
এসব বিষয়ের মধ্যে এএফপির দৃষ্টিতে চমকপ্রদ চারটি ইস্যু হচ্ছে:
আগামী ৮ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের পরদিনের অবস্থা নিয়ে কমবেশি অনেকের মধ্যেই সংশয় রয়েছে। মার্কিনদের সংশয় আরও বাড়িয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ইচ্ছা এ নিয়ে মার্কিনরা দোলাচলেই থাকুক। ৯০ মিনিটের বিতর্কে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, পরাজিত হলে তিনি নির্বাচনের ফল মেনে নেবেন কি না। ট্রাম্প সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে কারচুপি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। পরাজিত হলে নির্বাচনের ফল মেনে না-ও নিতে পারেন বলে আভাস দেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রিপাবলিকান নেতারা। ডেমোক্র্যাট প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ট্রাম্প গণতন্ত্রের সম্মান নষ্ট করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ইতিহাসে তাঁর এই বক্তব্য একধরনের হুমকি।
ফাঁস হওয়া ই-মেইল প্রসঙ্গ তোলার পর হিলারি ক্লিনটন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হিলারি ক্লিনটন বলেন, পুতিন হোয়াইট হাউসে একজন পুতুল চান। এ সময় ট্রাম্প প্রতিবাদ জানিয়ে বলে ওঠেন, তিনি পুতুল নন। পাল্টা হিলারিকেই পুতুল বলেন তিনি। নিজেকে বাঁচাতে ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। পুতিন আমার বন্ধু নন।’
আগ্নেয়াস্ত্রের অধিকার, গর্ভপাত ও কর নিয়ে হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক জমে। অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নের পক্ষে আবার আওয়াজ তোলেন ট্রাম্প। হিলারি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।
রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, হিলারি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনার প্রচার করছেন। এসবই বানানো বলে ট্রাম্পের দাবি। এরপর করের প্রসঙ্গ আসে। হিলারি প্রস্তাব করেন, কর পরিশোধ করে ট্রাম্প এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে পারেন। এ সময় ট্রাম্প বলে ওঠেন, হিলারি জঘন্য নারী।