বাংলাদেশ টেস্টের বাইরে ১৪ মাস। ক্রিকেটের বড় পরিসরে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা কতটা প্রভাব ফেলবে মুশফিকদের পারফরম্যান্সে, প্রশ্নটা ঘুরেফিরেই আসছে। ওয়ানডের লড়াই সমান সমান হলেও টেস্টে ইংল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ কেমন করবে, এ নিয়ে বেশির ভাগের মনেই আছে সংশয়। মুশফিকুর রহিম অবশ্য আশা দিচ্ছেন, ইংলিশদের বিপক্ষে ভালো কিছুই সম্ভব।
টেস্ট তো আছেই, তামিম-সাকিব-মুশফিকদের মতো শীর্ষ খেলোয়াড়েরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও দূরে আছেন দীর্ঘদিন! সেশন ধরে ধরে খেলার অভ্যাসে তাই মরচে ধরা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সিরিজের আগে কদিনের অনুশীলনেই এখন ভরসা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। মুশফিক অবশ্য এসব নিয়ে ভাবতে চাচ্ছেন না, ‘এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে হলে একটু পিছিয়ে পড়তে হবে। এখন সময় হয়েছে খেলার। আমরা সেটিতেই মনোযোগ দিচ্ছি। তবে আমরা খেলার মধ্যেই ছিলাম। কেবল টেস্টটাই খেলা হয়নি।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরিসংখ্যানটাও বাংলাদেশের পক্ষে নেই। ইংলিশদের বিপক্ষে ৮ টেস্ট খেলে হার প্রতিটিতেই। এর মধ্যে আবার তিনবার ইনিংস ব্যবধানে! পেছনের সবকিছু পেছনে রেখেই মুশফিক তাকাতে চান সামনে, ‘এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে গত দেড় বছরে বাংলাদেশ যেভাবে ধারাবাহিক খেলেছে, বিশেষ করে ওয়ানডেতে, সেটিও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। আসলে অসম্ভব কিছুই নয়। গত ১০-১১ বছরে যা করেছি, তার চেয়ে বেশিই কিছু করতে হবে এখন। চ্যালেঞ্জ আমাদের এটিই। দলের সিনিয়ররা প্রস্তুত। জুনিয়র যারা আছে তারা সুযোগ পেলে নিজেদের উজাড় করে দেবে। আমরা চেষ্টা করব পাঁচটা দিন সেশন ধরে ধরে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে। এটির জন্য মানসিকভাবে শক্ত হওয়া খুবই জরুরি। কঠোর অনুশীলন করেছি গত কয়েকটি দিন। আশা করি, পরিশ্রমের প্রতিফলন দেখতে পাবেন ম্যাচে।’
অনেক দিন টেস্ট না খেলা, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্করণে অনুজ্জ্বল পরিসংখ্যান—সব জেনেও মুশফিকের কথায় আস্থা রেখে স্বপ্ন কিন্তু দেখতেই পারে বাংলাদেশ।