Entertainment

Author Topic: Entertainment  (Read 777 times)

Offline Md. Nazmul Hasan

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 90
  • Test
    • View Profile
Entertainment
« on: October 22, 2016, 01:53:14 PM »


জ্যাকি চ্যানের কথাই ধরা যাক, একখানা আস্ত বিমান উপহার পেয়েছেন অভিনেতা। কারণ, তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করার পরে লাভের মুখ দেখেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা।

কথায় বলে, তারকা মানেই ‘জেট সেট লাইফস্টাইল’। শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনে কিংবা অন্য কোনো দরকারে বিমানবন্দরে লাইন দিয়ে বোর্ডিং পাস নেয়ার কী দরকার? ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে তো! জ্যাকি চ্যানের কথাই ধরা যাক, একখানা আস্ত বিমান উপহার পেয়েছেন অভিনেতা। কারণ, তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করার পর লাভের মুখ দেখেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। তাই জ্যাকিকে সংস্থার সামান্য উপহার। জ্যাকি ছাড়াও অনেক হলিউড অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ব্যক্তিগত বিমান। তবে ভারতীয় কোনো তারকারই ব্যক্তিগত বিমান নেই।

জ্যাকি চ্যান
কয়েক বছর আগের কথা, এশিয়া মহাদেশে জ্যাকির জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে তাঁকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর করেছিল ব্রাজিলের বিমান সংস্থা এমব্রয়ার। ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। চীনের অভিজাত মহলে সংস্থার তৈরি বিমানের চাহিদা বেড়েছিল ঝড়ের গতিতে। বেড়েছিল সংস্থার লাভের অঙ্কও। তাই উপহারস্বরূপ, এ বছর জ্যাকিকে একটা আস্ত বিমান উপহার দিয়েছে সংস্থা। বিমানের অন্দরের সাজসজ্জা নাকি জ্যাকির পরামর্শ মতোই করা হয়েছে। এটাই জ্যাকির প্রথম বিমান নয়। এমব্রয়ারের আরও একটি বিমান রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।

টম ক্রুজ
‘টপ গান’-এ অভিনয়ের সময় থেকেই নাকি টম ক্রুজের প্রাইভেট জেটের প্রতি আগ্রহ। শোনা যায়, ‘টপ গান’-এর শ্যুটিং শেষের পরে ফ্লাইং স্কুলে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা। ১৯৯৪ সালে পাইলটের লাইসেন্স পান টম। আপাতত অভিনেতার কাছে রয়েছে একটি গাল্ফস্ট্রিম ফোর এসভি মডেলের বিমান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, গাল্ফস্ট্রিম ফোর হল বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানগুলোর মধ্যে একটি। যে মডেলের বিমানের দাম শুরু হয় ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার থেকে।

জিম ক্যারি
হলিউড তারকাদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে দামি বিমান রয়েছে জিম ক্যারির হ্যাঙ্গারেই! ‘দ্য মাস্ক’, ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’এর জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বক্স অফিসে সাফল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে জিম ক্যারির রোজগারও। তাই বিমান কেনার সময়ে সমঝোতা করেননি জিম। গাল্ফস্ট্রিম মডেলের সর্বাধুনিক বিমানখানাই পকেটে পুরেছেন। এই বিমান কিনতে তাঁকে প্রায় ৫ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়েছে।

আর্নল্ড শোয়ার্ৎজেনেগার
তাঁর প্রথম বিমান ২০০৮ সালে কেনা। শখ করেই একটি গাল্ফস্ট্রিম ফোর বিমান কিনেছিলেন আর্নল্ড। যা নিয়ে একাধিকবার ঝামেলাতেও পড়তে হয়েছে অভিনেতাকে। বিমান কিনলেই তো হল না। ‘পার্ক’ করবেন কোথায়? ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকায় আর্নল্ডের প্রাসাদের পাশেই ছিল সান্টা মনিকা মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্ট।  প্রথম দিকে, সেখানেই বিমানটি পার্ক করতেন আর্নল্ড। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরের আপত্তিতে শেষমেশ সেই বিমানবন্দরে নিজের বিমান রাখা বন্ধ করতে হয়। ফাঁপরে পড়ে শেষ পর্যন্ত বিমান বিক্রি করে দেন তিনি। যদিও শোনা যায়, কয়েক বছর আগে ফের একটি বিমান কিনেছেন। তবে সেটা কোন বিমানবন্দরে পার্ক করান, সেই খবর মিলছে না।

জন ট্রাভোল্টা
এঁর প্লেন নিয়ে পাগলামির কথা অজানা নয়। জনের পাগলামি এমন পর্যায় যে, তিনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একখানা রানওয়ে।
জনের ফ্লোরিডার বাড়িতে রয়েছে হ্যাঙ্গার-সহ ব্যক্তিগত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলিংয়ের বন্দোবস্তও। একবার জনের এক সহ-অভিনেতা রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘জনের কেরিয়ার আর বিমান নিয়ে পাগলামি প্রায় সমান্তরালভাবে এগিয়েছে।’ মাত্র ২২ বছর বয়সে পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। তিনটি গাল্ফস্ট্রিম মডেলের বিমান ছাড়াও তাঁর হ্যাঙারে রয়েছে একটা বোয়িং ৭২৭ এবং ৭০৭-১৩৪বি বিমান।

হ্যারিসন ফোর্ড
দক্ষ পাইলট হ্যারিসন ফোর্ড। তিনি শুধু শখের পাইলটই নন। একাধিকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তিনি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন।
নিজে দুর্ঘটনাতেও পড়েছেন। ১৯৯৯ সালে হেলিকপ্টার নিয়ে উড়তে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন। সম্প্রতি তাঁর সাধের ভিনটেজ মোনোপ্লেন ওড়াতে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাতেও দমেননি হ্যারিসন। সুস্থ হয়ে উঠতেই ফের তিনি আকাশে ডানা মেলেছেন। সঙ্গী ব্যক্তিগত সেসেনা ৬৮০।

সূত্র: এবেলা