অভিষেকেই সিরিজ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সে আনন্দ তাজা থাকতে থাকতেই আরেকটি সুখবর পেয়ে গেলেন তিনি। মাত্র দুই টেস্ট খেলেই আইসিসির টেস্ট বোলিং র্যাঙ্কিংয়ের ৩৩ নম্বরে উঠে এসেছেন। ঠিক যেন ঘোড়ায় চড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এগোচ্ছেন। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে পা–ই রেখেছিলেন ৬১ নম্বর দিয়ে। সেখান থেকে আরেক টেস্ট খেলে আরেক লম্বা লাফ দিয়ে উড়ে এসে চলে এলেন ৩১–এ।
চট্টগ্রামেই টেস্ট অভিষেক। অভিষেকেই ৭ উইকেট নিয়ে প্রথম র্যাঙ্কিংয়ের খাতায় নাম লেখান। সেরা ১০০তেই জায়গা করে নিয়েছেন। ছিলেন ৬১ নম্বরে। মিরপুর টেস্টে গুনে গুনে নিলেন ১২ উইকেট। আর তাতেই র্যাঙ্কিংয়ে এমন লাফ। ২৮ ধাপ এগিয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন তাইজুল ইসলামকেও। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট পেলেও একধাপ পিছিয়ে ৩৭তম স্থানে চলে গেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ৫ উইকেট পেয়ে ২১ রেটিং পয়েন্ট পেলেও বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে কোনো নড়চড় হয়নি সাকিবের (১৫)। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের পরেই আছেন এই তরুণ অফ স্পিনার।
সিরিজে বোলিংয়ে ৫৮ রেটিং পেলেও ব্যাটিংয়ে ২২ পয়েন্ট হারিয়েছেন সাকিব। তাই অলরাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ধরা হলো না তাঁর। তবে ২১ রেটিং পয়েন্ট পেয়ে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে অশ্বিনের (৪৫১) সঙ্গে ব্যবধান ৪৬-এ কমিয়ে এনেছেন। ও দিকে সিরিজে একটি সেঞ্চুরি ও এক ফিফটির সুবাদে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২০–এ ঢুকে গেছেন তামিম ইকবাল (২০)। এর আগেও একবার ২০ ছিলেন তামিম। এটিই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং।