তৈরি খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আজকাল অনেক মা-বাবাই সচেতন। প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানা ধরনের রাসায়নিক বা হরমোন মিশ্রিত থাকে বলে শিশুর শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে। এই সচেতনতা থেকে আজকাল বাজারে অরগানিক বা প্রাকৃতিক খাবার পাওয়া যাচ্ছে। যেমন: অরগানিক ডিম বা অরগানিক চাল, ডাল, মাংস। এর অর্থ এসব প্রাণীকে কৃত্রিম খাবার বা হরমোন খাওয়ানো হয়নি, স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। অথবা এসব কৃষিপণ্য উৎপাদনে প্রাকৃতিক কীটনাশকপদ্ধতি ও সার ব্যবহার করা হয়েছে।
পুষ্টি গুণাগুণের বিচারে নন-অরগানিক খাবার ও অরগানিক খাবারে পার্থক্য তেমন নেই। তবে যেসব শিশুকে অরগানিক খাবার দেওয়া হয়, তাদের মূত্র পরীক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশকের উপাদান থাকে না বললেই চলে। এটাও প্রমাণিত যে যারা অরগানিক খাবার গ্রহণ করে, তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধী শক্তি বা অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মাত্রা বেশি থাকে এবং ক্ষতিকর ক্যাডমিয়াম মাত্রা থাকে কম।
তবে কৃষিপণ্যে কীটনাশক ও সার নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্ষতিকর নয়। এই মাত্রা লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা দেখা দরকার।
শিশুর খাবার বেছে নেওয়ার সময় পরামর্শ
যতটা সম্ভব বাড়িতে হাতে তৈরি খাবার দিন। দুধ-ডিম ইত্যাদির ক্ষেত্রে অতটা বাছবিচার সম্ভব নয়, তবে বিশ্বস্ত ও বড় দোকান থেকে যাচাই করে কিনুন। শাকসবজি ফলমূল রাসায়নিকমুক্ত করতে বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং ভালো করে ধুয়ে নিন। শিশুর খাবার তৈরিতে কৃত্রিম স্বাদকারক যেমন: সস, সয়াসস, ক্রিম, টেস্টিং সল্ট ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো, দেশি উপকরণ ও মসলা ব্যবহার করুন।
Collected ---