ছোট্ট একটি ছেলে, যে তার মেজাজ/ক্রোধ/রাগ(Temper/anger) কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তো তার বাবা একদিন তাকে এক ব্যাগ পেরেক ও একটি হাতুরি দিল এবং তাকে বললো " প্রতিদিন যতবার তোমার মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, ঠিক ততবার আমাদের কাঠের বেষ্টনীতে একটা করে পেরেক ঠুকবে।"
প্রথমদিন সে ২৩টি পেরেক ঠুকল, দ্বিতীয় দিন ১৭টি,এভাবে দিনে দিনে তার পেরেক ঠোকার হার কমে গিয়ে একদিন শূন্যে নেমে এলো। সে আবিষ্কার করল যে, এভাবে প্রতিদিন বেষ্টনীতে পেরেক ঠোকার থেকে মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করা ভাল। তার মেজাজকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা শিখে যখন তার বাবার কাছে গেল,বাবা বলল “ এবার থেকে যেদিন তুমি তোমার মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, প্রত্যেকবার একটা করে পেরেক তুলে ফেলবে”।এভাবে কিছুদিনের মধ্যে সে সব পেরেক তুলে ফেলার পর বাবার কাছে গেল। বাবা তাকে সেই বেষ্টনীর কাছে নিয়ে গেল, যেখানে সে পেরেক ঠুকত।
বাবা বললো “ তুমি আজ তোমার মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে গিয়েছ, খুব ভাল, কিন্তু লক্ষ্য করো বেষ্টনীর গর্তগুলো,পেরেকের কারণে ক্ষত হয়ে আছে। এই বেষ্টনীকে আর আগের মত ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, যখন তুমি মেজাজ হারিয়ে কিছু বল বা করো তখন এটা এরকম একটা দাগ রেখে যায়, যা কখনই আগের মত ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। যেমনঃ একজন মানুষকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে, তুমি তাকে কোটি বার দুঃখিত বললেও, ক্ষত থেকে যাবেই।”
“A verbal wound is as bad as a physical wound”