নভেম্বরে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদন বলা হয়, অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে খাদ্যের মূল্যসূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। তবে গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় এখনো ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি আছে দাম। পাঁচ ধরনের পণ্যের দাম নিয়ে জরিপ চালায় ফাও। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস ও চিনি।
ফাও এর নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী খাদ্যের মূল্যসূচক হয়েছে ১৭১.৩ পয়েন্ট। যা গত অক্টোবর মাসের তুলনায় ১.৩ পয়েন্ট কম। ফাও-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লেও চিনির দাম বেশ কমেছে। যার কারণে মূল্যসূচক কমেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নভেম্বরে দানাজাতীয় শস্য পণ্যের মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১৪১ দশমিক ৪ পয়েন্ট। যা অক্টোবরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৭.৯ শতাংশ কম। মূলত ডলার শক্তিশালী হওয়ায় এবং আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ায় গমের ফলন ভালো হওয়ায় এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে।
ভোজ্যতেলের মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১৭৫ দশমিক ৬ পয়েন্ট। যা অক্টোবরের চেয়ে ৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট বেশি। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় পাম তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্যতম কারণ ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। এদিকে চিনির দাম অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। পর পর ছয় মাস বিশ্ববাজারে দাম চড়া থাকলেও নভেম্বরে ব্রাজিলের মুদ্রার অবমূল্যায়ন হওয়ায় ব্যাপক দাম কমেছে চিনির। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বেশি চিনি উৎপাদিত হয় ব্রাজিলে।
প্রতিবেদনে দেখা যায় অক্টোবর মাসের চেয়ে নভেম্বরে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। এই সময়ে মদ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা ও চীনে দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এ ছাড়া গুঁড়ো দুধ এবং মাখনের দাম বেড়েছে বিশ্ববাজারে। তবে নভেম্বরে মাংসের দাম বিশ্ববাজারে অপরিবর্তিত আছে। বর্তমানে এর মোট পয়েন্ট ১৬১.৫।