বার্ধক্যজনিত প্রদাহকে বাধা দিতে পারে ক্যাফেইন, জানা গেল নতুন এক গবেষণায়।
এর জন্য দিনে অল্প কিছুটা কফি পান করাই যথেষ্ট, লাইভ সায়েন্সকে জানান এই গবেষণার একজন লেখক এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি এবং ইমিউনোলজির অধ্যাপক মার্ক ডেভিস। গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যায় কেন কফি পানকারীরা তাদের চাইতে বেশিদিন বাঁচেন যারা কফি পান করেন না।
এই গবেষণা কয়েকটি ধাপে করা হয়। প্রথমে গবেষকেরা ১০০ জনের মতো মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। তারা স্ট্যানফোর্ড-এলিসন কোহর্ট নামের অন্য একটি গবেষণায় অংশগ্রহণ করছিলেন। বয়সের সাথে শরীরে কী পরিবর্তন আসে তা ঐ গবেষণায় দেখা হচ্ছিল। এখান থেকে দেখা যায়, বয়স্ক মানুষদের শরীরে একটি প্রদাহসৃষ্টিকারী প্রোটিন IL-1-beta বেশী থাকে।
দ্বিতীয় ধাপে ইঁদুরের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা যায় এই প্রোটিনের কারণেই তাদের অনমনীয় ধমনী, উচ্চ রক্তচাপ এবং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে।
কিছু কিছু মানুষের মাঝে এই ক্ষতিকর প্রোটিন কার্যকরী করা জিনের কার্যকারিতা কম হয়। তৃতীয় ধাপে, গবেষকেরা একটি দারুণ তথ্য খুঁজে পান। তারা দেখেন, যারা নিয়মিত ক্যাফেইনেটেড পানীয় পান করেন তাদের ক্ষেত্রেই এই প্রোটিন কম কার্যকরী হয়। গবেষণায় ব্যবহৃত ব্লাড স্যাম্পল পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা যায়, যাদের রক্তে বেশী পরিমাণে ক্যাফেইন ছিল সেখানে এসব জিনের পরিমাণও কম ছিল।
এরপর এই ব্যাপারটি আরও শক্তভাবে প্রমাণ করার জন্য ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করা হয়। ল্যাব ডিশে রাখা হয় মানুষের ইমিউন সেল। এতে একই সাথে যোগ করা হয় ক্যাফেইন এবং প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান। এতে দেখা যায়, ক্যাফেইন আসলেই মানব কোষে প্রদাহ তৈরিতে বাধা দেয়।
“ক্যাফেইন গ্রহণের কারণে ব্লাড প্রেশার কম হয় এ ব্যাপারটাও প্রমাণ হয় এখানে,” লাইভ সায়েন্সকে বলেন অধ্যাপক ডেভিস।
গবেষকেরা জানান, প্রদাহ কমানোর মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত আরও কিছু সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। এর জন্য আপনি পান করতে পারেন কফি। তবে তারা আশা করছেন এ ব্যাপারে আরও বিশদ গবেষণা হবে এবং এসব প্রদাহ কমানোর জন্য আরও কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কৃত হবে।