বাংলাদেশ ওপেন গলফে রানারআপ হয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো এই সম্মান জিতলেন এশিয়ান ট্যুরের দুটি শিরোপাজয়ী এই বাংলাদেশী গলফার। শনিবার টুর্নামেন্টের শেষদিনে ছয়টি বার্ডি ও একটি বগি পেয়েছেন সিদ্দিকুর। পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ট্যুর শিরোপা জিতলেন থাইল্যান্ডের জাতাওয়ানান্দ। তার মোট স্কোর ৬৪+৬৭+৬৯+৬৭=২৬৭। সিদ্দিকুরের স্কোর ৭১+৬৬+৬৮+৬৬=২৭১। প্রথম রাউন্ডে বাজে খেলায় শিরোপা হাতছাড়া হয় সিদ্দিকুরের।
বসুন্ধরা ওপেনের তৃতীয় আসরে প্রথমদিনে ২৯তম, দ্বিতীয়দিনে পঞ্চম এবং তৃতীয়দিনে তৃতীয় স্থানে থাকা সিদ্দিকুর কাল কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে টুর্নামেন্টের শেষ রাউন্ডের শুরুটা দুর্দান্ত করেন। ১ নম্বর হোল থেকে এই রাউন্ডের খেলা শুরু করেন তিনি। আগের দিন প্রথম হোলেই যেখানে বগি পেয়ে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন, সেখানে শেষ রাউন্ডের প্রথম হোলটি খেলেন পারের সমান। পরের হোলেই দেখা পান কাক্সিক্ষত বার্ডির। চার পারের এই হোলটি সিদ্দিকুর শেষ করেন তিন পারে। ফলে তিন নম্বর হোলটি পারের সমান খেলে পরেরটিতেই তুলে নেন বার্ডি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৫ ও ৬ নম্বর হোল সতর্কতার সঙ্গে পারের সমান খেলার পরে সাত নম্বর হোলে এসে দেখা পান দিনের তৃতীয় বার্ডির। এরপর টানা পাঁচটি হোল পারের সমান খেলে ১৩ নম্বর হোলে এসে দিনের প্রথম বগির দেখা পান। ছন্দে ফিরতে খুব বেশি সময় নেননি এই স্বাগতিক গলফার। ১৪ ও ১৫ নম্বর হোলে টানা বার্ডি নিয়ে খেলায় ফেরেন সিদ্দিকুর। ১৬ ও ১৭ নম্বর হোল পারের সমান খেলে ১৮ নম্বর হোলে বার্ডি করে নিশ্চিত করেন বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের প্রথম রানারআপ ট্রুফি। পারের চেয়ে পাঁচ শট কম খেলে বাংলাদেশের দুলাল হোসেন যৌথভাবে ১৫তম এবং পারের সমান শট খেলে জামাল হোসেন মোল্লা ২৬তম হয়েছেন। অন্যদিকে প্রথম রাউন্ড থেকেই শীর্ষে থাকা জাতাওয়ানান্দ পরের রাউন্ডগুলোতে কোনো ভুল করেননি। পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলেই এশিয়ান ট্যুরের প্রথম শিরোপা নিশ্চিত করেন থাইল্যান্ডের এই গলফার।