ধনকুবের হতে চাইলে পেশা হিসেবে ক্রীড়াবিদ হওয়ার চেয়ে বরং একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী হওয়া বেশি কাজের। যদিও একজন ভালো মানের ক্রীড়াবিদের আয় মোটেও কম নয়। ক্লিভল্যান্ডের বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমসের কথা ধরা যাক। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৬ সালে লেব্রনের মোট আয় ছিল ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি।
একজন ক্রীড়াবিদের কর্মজীবন খুবই স্বল্প। কোটি কোটি টাকা আয় করতে হলে খুব বড় ম্যাপের একজন ক্রীড়াবিদ হতে হবে। কারিগরি চাকরি খোঁজার ওয়েব পোর্টাল পাইজার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের গড় কর্মজীবন মোটে সাড়ে তিন বছর। এই মেয়াদে একজন খেলোয়াড়ের আয় সর্বসাকল্যে ৩০ লাখ ডলারের বেশি হয় না।
এবার একজন ক্রীড়াবিদের সঙ্গে একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীর আয়ের তুলনায় আসা যাক। পাইজার প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা করা ১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জনই তাঁদের স্নাতক শেষ করতে পারেন। যাঁদের ৯৭ শতাংশ পড়াশোনা শেষ করেই চাকরিজীবনে প্রবেশ করেন।
কর্মজীবন শুরু করা একজন প্রকৌশলী জীবনের প্রায় ৪০ বছর কাজ করতে পারেন এবং বছরে গড়ে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮ ডলার আয় করেন। সব মিলিয়ে তাঁর মোট উপার্জন দাঁড়ায় ৫০ লাখ ১৬ হাজার ৭২৩ ডলার, যা গড়পড়তা পেশাদার এনএফএল খেলোয়াড়দের চেয়ে ঢের বেশি। আর সফটওয়্যার প্রকৌশলীর কাজটি যদি ফেসবুক কিংবা গুগলের মতো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়, তবে সামগ্রিক উপার্জনের পরিমাণ আরও অনেক বাড়বে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার