অলৌকিক কিছুর অপেক্ষায় ছিল বার্সেলোনা সমর্থকেরা। কিন্তু ফুটবলের সঙ্গে অলৌকিকতার যোগ কতটুকু! প্যারিসে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিটুকু সেরেই রেখেছিলেন তারা। কিন্তু কাল রাতে ন্যু ক্যাম্পে যা ঘটল, তার সঙ্গে কেবল তুলনা চলে রূপকথার গল্পেরই। অলৌকিক ঘটনাই ঘটিয়ে দিলেন বার্সা খেলোয়াড়েরা। ইউরোপ-সেরার এই লড়াইয়ের ইতিহাসের ঘুরে দাঁড়ানোর ‘শ্রেষ্ঠতম’ গল্পগাথা রচনা করে পিএসজিকে ৬-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেছে তারা।
নেইমার বলছেন, এটি তাঁর জীবনের সেরা ম্যাচ। সেটা তিনি বলতেই পারেন। ম্যাচে বার্সেলানার দুটি গোল যে তাঁরই। ৮৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করার পর যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে করা তাঁর গোলেই রূপকথার ইতিহাস রচিত হয় ন্যু ক্যাম্পে। এর আগে, ৩ মিনিটের মাথায় লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যাওয়া বার্সাকে আরও একটু পথ এগিয়ে দেয় কুরজাওয়ার আত্মঘাতী গোল। ৫০ মিনিটে লিওনেল মেসি স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলার পর ৬২ মিনিটে পিএসজি খেলায় ফেরে এডিসন কাভানির গোলে। নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলে জয়ের পর পিএসজিকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিতে এই গোলই ছিল যথেষ্ট। কিন্তু নেইমার আর সার্জি রবার্তোর শেষ সময়ের তিন গোলে অবিশ্বাস্য এক গল্পের সাক্ষী ফুটবলপ্রেমীরা। ৮৮ মিনিটে নেইমারের ফ্রিকিকের গোল কিংবা ৯১ মিনিটে তাঁর পেনাল্টি গোলের পরেও নিশ্চিত ছিল না বার্সার কোয়ার্টার ফাইনাল স্থান। রবার্তোর শেষ মুহূর্তের গোলই নিশ্চিত করে দেয় বার্সেলোনার শেষ আট।
ম্যাচ শেষে বেইন স্পোর্টসকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে নেইমারের কণ্ঠ ছিল আবেগ আর উচ্ছ্বাস। তবে পুরো ব্যাপারটা নাকি তাঁর একেবারেই অবিশ্বাস্য লাগেনি, ‘আমি জানি আজ আমরা ইতিহাস গড়লাম। বার্সেলোনার মতো দল যেকোনো কিছুই করতে পারে। এটা আমার জীবনের সেরা ম্যাচ। সবদিক দিয়েই। এই ম্যাচটা আমাদের কাছে যা ছিল, এই ম্যাচে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো—সবদিক দিয়েই এটি সেরা।’