১) বল বিয়ারিংঃ
কোন বস্তু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুর্ণনের সাহায্যে পরিচালিত করতে বল বিয়ারিং খুবই কার্যকর একটি বস্তু। মূলত এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে কল কারখানায়। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র থেকে আমরা জানি যে ঘর্ষণের সাহায্যে কোন বস্তুর পৃষ্ঠদেশের ক্ষয় হয়। বল বিয়ারিং সে ক্ষয়টিই রোধ করে থাকে।
২) প্যারাশ্যুটঃ
উচ্চ অবস্থান থেকে কোন বস্তু ঝাঁপ দিলে অভিকর্ষজ ত্বরণের সাহায্যে খুব দ্রুত মাটির দিকে পড়তে থাকে। ঠিক এ কারণেই গ্রীক মিথলজির ইকারুসের মৃত্যু হয় খুবই করুণভাবে। লিওনার্দো প্যারাশ্যুটের তৈরির মাধ্যমে উড্ডয়নে সমর্থ হন। ঐ সময়কার ফ্লোরেন্সের সেনাবাহিনীর যুদ্ধক্ষেত্রে এই আবিষ্কার নানা কাজে লাগে। ২০১৭ সালে এসেও আমরা দেখতে পাচ্ছি প্যারাশ্যুটের মহিমা।
৩) অর্নিথপটারঃ
লিওনার্দো পাখিদের নিয়ে নানা গবেষণা করেছেন। বিশেষ করে পাখিদের ওড়ার ওপর ছিল তার অমোঘ আকর্ষণ। কি করে পাখিরা এত সময় ভেসে থাকতে পারত, তা নিয়ে তার মনে ছিল হাজারো প্রশ্ন। করেছেন বিস্তর গবেষণা। গবেষণার ফলেই একদিন আবিষ্কার করে ফেলেন অর্নিথপটার। মূলত, এটি ভেসে থাকতে সাহায্য করে উঁচু অবস্থান থেকে।
৪) মেশিন গানঃ
আপনার জানা আছে কি, বর্তমান যুগের মেশিন গান লিওনার্দোর আবিষ্কার? তবে সে মেশিনগান আজকের যুগের মত এত অত্যাধুনিক ছিল না। মাত্র বারোটা গুলি তাতে ভরা যেত এবং একবার ফায়ার করা পর তা রিলোড করতে বেশ খানিকটা সময় লাগত।
৫) ডাইভিং স্যুটঃ
আজ আমরা ডুবুরীদের দেখতে পাচ্ছি ডাইভিং স্যুট পরিধান করে সাগরের নিচ হতে মণি মুক্তা সেঁচে নিয়ে আসছে। এই ডাইভিং স্যুটের আবিষ্কারক লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। ১৫ শতকে তিনি এটি আবিষ্কার করেন। তার আবিষ্কৃত ডাইভিং স্যুটে ডুবুরী যে ধরণের গগলস চোখে দিত, তা ছিল বেশ কিম্ভূতকিমাকার। পুরো স্যুটটা বেশ ভারী ছিল। ভারী থাকা সত্ত্বেও তা ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল না কারণ লিওনার্দো পোষাকে বিশেষ ধরণের ছিদ্র ব্যবহার করতেন, যার ফলে শরীরের ভার বেশ হালকা হয়ে যেত।