১. বিশাল হাতির মত ম্যামথ পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু মেরুদন্ডহীন তেলা পোকা হাজার হাজার বছর ধরে এই পৃথিবীতে টিকে আছে।
টিকে থাকাই যদি সার্থকতা হয় তাহলে বিশাল ম্যামথ অবশ্যই একটি পরাজিত কাহিনী। তাই অনেকের কাছেই ম্যামথ একটি পরাজিত কাহিনী।
তেলাপোকা তাদের কাছে সার্থকতার উদাহরন।
২. মাঝে মাঝেই ফার্মের মুরগির কনসেপ্ট আমাকে পীড়া দেয়। বেচারাদের কাজই হল মানুষের প্রোটিনের সংস্থান করা। কখনো মাংসের মাধ্যমে বা কখনো ডিমের মাধ্যমে। তাদের জীবন কাটে নিরাপদ খাঁচায় আর তাদের ডিম ফূটে ইনকিউবিটরে। নিজেদের বাচ্চাদের কোনদিন চিনতেও পারে না। লাইটের আলোয় তারা খেয়ে চলে সারাদিন। কৃত্রিম খাবার খেয়ে তারা বড় হয়। বন বাদাড় কি জিনিস - তা তাদের বোধগম্যের বাইরে। বিভিন্ন টিকার মাধ্যমে তারা নিরোগ থাকে।
একদিক চিন্তা করলে ফার্মের মুরগির জীবন সার্থক বলা যায় কেননা তারাই এখন মানুষের প্রোটিনের একটি বড় উৎস। কিন্তু তাদের জীবন যাপন প্রনালীটা কত অস্বাভাবিক।
আসলেই জীবনের সার্থকতা একেক জনের কাছে একেক রকম।
(আমার মতে ফলাফল যাই হোক - কে কেমন জীবন কাটিয়েছে - এটাই তার জীবনের সার্থকতার মাপকাঠি হওয়া উচিৎ।)