কুয়াকাটা
বরিশালে কলিগের বিয়ে থাকার সুবাদে কুয়াকাটা ভ্রমনটা ছিল অপরিহার্য । লঞ্চে যাতায়াত সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক তাই লঞ্চই বেছে নিয়েছিলাম।
ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চ : সিংগেল কেবিন ৮০০, ডাবল ১৬০০ , ডেক ২০০ ( পারাবত ৯) ।
তবে ঢাকা টু পটুয়াখালী অথবা ঢাকা টু আমতলী হয়ে গেলে বাসে সময় কম লাগবে ।
ঢাকা টু বরিশাল লঞ সদরঘাট থেকে রাত ৯ টায় ছেড়ে যায় । বরিশাল পৌছায় ভোর ৪:৩০ এ। আলো ফুটলে লঞ্চ থেকে নেমে নাস্তা করে চলে যেতে হবে বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে কুয়াকাটার বাস ছেড়ে যায় প্রতি এক ঘন্টা অন্তর অন্তর । ভাড়া ২৪০ টাকা । সময় লাগে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘন্টা ।
কুয়াকাটায় বেশ কিছু নিন্ম থেকে শুরু করে ভাল মানের হোটেল রয়েছে । সবচেয়ে ভাল হয় যদি সরকারী কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল এ থাকা। ভাড়া ওদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন। ভাল হয় আগে থেকে বুকিং দিয়ে গেলে ।
আমরা কুয়াকাটা গেস্ট হাউসে ছিলাম । ১০ জন , ৩ টা রুম , প্রতি রুমে ১ টা ডাবল এবং ১ টা সিংগেল বেড , ২ রাত ছিলাম , ভাড়া টোটাল ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা ।
প্রথমদিন যেহেতু যেতে যেতেই দুপুর তাই দুপুরের খাওয়াটা শেষ করেই সমুদ্রস্নান । রাতে বিচের পাশেই খেতে পারেন ফিশ বারবিকিউ। টুনা ফিশ বারবিকিউ , কাকড়া ফ্রাই, চিংড়ী ফ্রাই ট্রাই করতে পারেন।
পরদিন সকালে বোট ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন শুটকি পল্লী , লাল কাকড়ার চর , ফাতরার চর, লেবুর বন। ১০ জনের বোট রিজার্ভ ৩৫০০ টাকা। বোটের কন্টাক্টস প্রথম কমেন্টে।
শুটকি পল্লীতে ভাল মানের এবং সুলভ মূল্যে শুটকি পাওয়া যায় , কিনতে পারেন ।
বাইকে করেও ঘুরা যায় কিন্তু বোট জার্নিটা বেশি রোমাঞ্চকর।
ভোরবেলা সূর্যদয় দেখার জন্য যেতে পারেন গংগামতির চড়ে । বাইকে করে যাওয়া যায়। এক বাইকে ২ জন ভাড়া পরবে আপ-ডাউন ২০০ টাকা। বাইক নিজে চালাতে পারলে সেটা আরও বেশি মজার ।
সবশেষে বলব কুয়াকাটাতে গ্রুপ করে বেশি মানুষ নিয়ে ঘুরতে গেলে মজাটা বেশি। আর অবশ্যই ডাব খাবেন। ওখানে ২০/৩০ টাকায় যে ডাব পাওয়া যায় সেটা ঢাকায় ৫০/৬০ টাকাতেও পাওয়া মুশকিল। আর কোনকিছু কেনা এবং খাওয়ার আগে অবশ্যই ঠিকমত দরদাম করে নিতে ভুলবেন না ।
#happy_travelling