‘হে আমার বার্তা বহনকারীগন! সব ভালো এবং খাঁটি জিনিসগুলো উপভোগ কর, এবং সঠিক কাজ করঃ তোমরা যা কর আমি তা ভালভাবে জানি।’
{উৎসঃ কুরআন সূরা আল মুমিনুন ২৩-আয়াত#৫১}
১। বার্লি (جو জাউ):জ্বরের জন্য ভালো, যখন ঝোল (সুপ) হিসেবে ব্যবহার হয়।
২।খেজুর (کھجور):
নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে বাড়িতে খেজুর নেই সেখানে কোন খাবারই নেই। বাচ্চা প্রসবকালীন সময়েও এটা খাওয়া উচিৎ।
৩। ডুমুর ( انجير ): এটি বেহেস্তের ফল এবং এতে পাইলস রোগের উপশম হয়।
৪। আঙ্গুর ( انگور ): নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আঙ্গুর ফল খুব পছন্দ করতেন – এটা রক্ত পরিষ্কারক, সুস্বাস্থ্য এবং প্রাণশক্তি প্রদানকারী, কিডনির শক্তিবর্ধক এবং অন্ত্র পরিষ্কারক।জ্জজ
৫।মধু( شہد ): ধারণা করা হয় যে ডায়রিয়ার সর্বত্তম প্রতিকারক হচ্ছে মধু যখন তা গরম পানিতে মিশানো হয়। এটা খাবারের মধ্যে সর্বোত্তম, পানীয়ের মধ্যে সর্বোত্তম এবং ঔষধের মধ্যে সর্বোত্তম। এটি রুচি তৈরি করতে ,পাকস্থলি শক্তিশালী করতে,কাশির শ্লেষ্মা দূর করতে,মাংস সংরক্ষনে,চুলকে নমনীয় রাখতে,চোখের পরিষ্কারক হিসেবে এবং মুখগহ্বর পরিষ্কারক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সকাল বেলা উষ্ণ পানির সাথে এটা খুব উপকারি।
৬। তরমুজ( تربوز - خربوزا - سردا ): নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের স্ত্রীলোক যারা গর্ভবতী এবং তরমুজ খায় তাদের সন্তান ভালো কাজে সমর্থন দিবে এবং ভালো চরিত্রের হবে।
৭। দুধঃ নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে দুধ হৃদয়ের তাপ মুছে দেয় ঠিক যেমন হাতের আঙ্গুল ভ্রু থেকে ঘাম মুছে দেয়। এটা পিঠকে শক্ত করে,বুদ্ধির বিকাশ ঘটায়, দৃষ্টিশক্তিকে নবজীবন দেয় এবং স্মরণশক্তি বাড়ায়।
৮। মাশরুম( کھمبي ): নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন মাশরুম চোখের ভালো প্রতিকারক; এটা জন্ম নিয়ন্ত্রণ এ সাহায্য করে এবং পক্ষাঘাতের প্রতিরোধক হিসেবে ভুমিকা রাখে।
৯।জলপাইয়ের তেল( زيتون ): এটা চুল এবং ত্বকের চমৎকার চিকিৎসা,বার্ধক্যকে বিলম্বিত, এবং পাকস্থলীর জ্বালাপোড়ায় চিকিৎসা করে।
১০। ডালিম ( انار ):নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন এটা শয়তান এবং খারাপ উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে ৪০ দিনের জন্য তোমাকে পবিত্র রাখে।
১১। সিরকা( سرکہ ):নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জলপাই এর তেলের সাথে এটা খেতেন।[এটা এখন ইতালির সেরা রেস্তোরা গুলোতে রেওয়াজ এ পরিণত হয়েছে।]
১২। পানি( پاني ): নবী মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন পানি হচ্ছে বিশ্বের সর্বোত্তম পানীয়, যখন তুমি তৃষ্ণার্ত একটু একটু করে চুমুক দিয়ে পানি খাও এবং গবগব করে ঢোক গিলে নয়, এভাবে মুখ ভর্তি করে পানি খেলে যকৃতের অসুখ হয়।