মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য কি - এই নিয়ে কিছুদিন আগে একটা সার্ভে হয়েছিল, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা সবাই ছিল তরুণ। উত্তরে আশি ভাগই জবাব দিয়েছিলেন, তারা ধনী হতে চান। পঞ্চাশ ভাগেরও বেশী জবাব দিয়েছিলেন তারা বিখ্যাত হতে চান। তরুণ বয়েসে আমাদের বেশির ভাগ মানুষেরই জীবনের লক্ষ্য অর্থ কিংবা খ্যাতিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। কিন্তু সেটা যে জীবনকে অর্থপূর্ণ করার মূল উপাদান নয়, এটা আমরা বুঝতে শুরু করি আমাদের বয়েস আর অভিজ্ঞতা যতো বাড়তে থাকে।
মানুষের জীবনকে সত্যিকার অর্থে সুন্দর-সার্থক করতে কি প্রয়োজন?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সুদীর্ঘ গবেষণা চালিয়েছে পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড। সেই ১৯৩৮ সালে শুরু হওয়া এই গবেষণাটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচাইতে দীর্ঘ গবেষণা, যেটি এখনো চলছে। ৭৫ বছরেও বেশি সময় ধরে চলা এই গবেষণায় শুরু থেকে অংশ নিয়েছেন মোট ৭২৪ মানুষ, তাদের তরুণবেলা থেকে। সমাজের বিভিন্ন পেশার ও স্তরের মানুষ এখানে অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ কর্মচারী থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এদের অনেকেই মারা গিয়েছেন। ৬০ জন এখনো বেঁচে আছেন, যাদের অনেকের বয়েস ৯০ পেরিয়েছে। শুধু দীর্ঘতম হিসেবেই নয়, এই গবেষণাটি আর দশটা সার্ভে টাইপ গবেষণা থেকে একবারেই ভিন্ন, যেখানে কেবল অংশগ্রহণকারীদের কয়েকটা প্রশ্ন ধরিয়ে দেয়া হয়নি, বরং তাদের সাথে গবেষকেরা কাটিয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন। জেনেছেন তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছা, কথা বলেছেন তাদের পরিবারের মানুষদের সাথে, লক্ষ্য করেছেন অন্য মানুষদের সাথে তাদের যোগাযোগ। পাশাপাশি তাদের পর্যবেক্ষ্ণ করা হয়েছে তাদের মেডিকেল ইতিহাস, বিশ্লেষণ করা হয়েছে তাদের মেডিকেল রিপোর্ট।
উদ্দেশ্য ছিল একটাই, কি করলে মানুষের জীবন সুখী ও সুস্থ হয় - এটা খুঁজে বের করা।
Please visit:
https://www.ted.com/talks/robert_waldinger_what_makes_a_good_life_lessons_from_the_longest_study_on_happiness