১০০ টি বিষয় যা সফল ব্যক্তিরা করে থাকেন: তৃতীয় অনুশীলন- ‘আপনার ভবিষ্যত গড়ে তুলুন’
সফল ব্যক্তিরা কখনোই সুযোগ কিংবা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করেন না। কোনো সফল ব্যক্তিকে দেখে আমরা নিমিষেই একটা মন্তব্য করে বসি যে, ‘ইশ! তিনি কত ভাগ্যবান\ভাগ্যবতী’। কিন্তু এটা একদম সঠিক নয়। মেধা, মনন, আত্মবিশ্বাসের জোরেই একজন মানুষ সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছান।
স্বপ্ন দেখা ও সেগুলো পরিপূর্ণ করার পরিকল্পনা করাই কিন্তু যথেষ্ট নয়। কীভাবে আপনি আপনার ভাগ্য তৈরি করবেন, সেটিতে অনেক দীর্ঘ ব্যাপ্তি জড়ানো থাকে। আপনার মনকে স্থির ও সঠিক পথে নেওয়াও জরুরি। কঠোর পরিশ্রম করুন, বাজে সঙ্গ উৎসর্গ করুন এবং ঝুঁকি নেয়ার মনোবল রাখুন।
আরেকটি জরুরি ব্যাপার, ভবিষ্যতে কী ঘটবে তার উপর নিজেকে কখনো ছেড়ে দেবেন না। আমি এমন অনেক মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি যারা ভবিষ্যতের কথা ভেবে হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তারা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বর্জন করেছেন। তারা বর্তমানে সাফল্য পাচ্ছিলেন না বলে ধরে নিয়েছিলেন যে ভবিষ্যতেও সাফল্য পাবেন না। এসব যাবতীয় ভিত্তিহীন অজুহাত ত্যাগ করতে না পারলে আপনি কখনোই সফলতার দ্বারে পৌঁছতে পারবেন না।
বহু সফল ব্যক্তি তাদের মনের বিদ্বেষ ত্যাগ করে তবেই জয়ী হয়েছেন। এক্ষেত্রে উইনস্টন চার্চিলের কথাই ভাবুন না! তিনি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কয়েকবার হেরে গিয়ে তবেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
অতীতে কী হয়েছে না হয়েছে তা ভুলে গিয়ে ভবিষ্যত নিয়ে কাজ করা শুরু করুন। আপনি কী ভাবেন আর কী অনুভব করেন, সেটিই প্রধান।
অন্যেরা যেন কখনোই আপনাকে নীচে নামাতে না পারে:
আপনি নিশ্চয়ই আপনার স্বপ্ন ও লক্ষ্য বন্ধু, পরিবারের সদস্য এবং সহকর্মীদের সাথে ভাগাভাগি করেছেন। সেটা ভালো, কিন্তু সাবধানে করুন। তারা যেন তাতে হিংসাপরায়ণ, নেতিবাচক ও হাস্যরসাত্মক মন্তব্য পোষণ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। আমি যাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি এমন অনেকেই খুব আপনজনের কাছে স্বপ্নের কথা বলে হাসির পাত্র হয়েছেন।
এমন বন্ধুবৎসল পরিবেশ খুঁজুন যেখানে আপনি স্বপ্ন পূরণের রসদ পাবেন। এতে করে হয়তো আপনি কিছু মানুষের সত্য রূপ জানতে পারবেন এবং নিজের লক্ষ্যগুলোর ব্যাপারে ইতিবাচক হবেন।
নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পুনরায় বিচার করুন:
আপনার কি এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে যে নিজের ভবিষ্যত আপনি নিজেই গড়তে পারেন? সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে বের হওয়া দুষ্কর কিন্তু আপনি যদি সনাক্ত করতে পারেন যে কোথা থেকে এগুলোর উৎপত্তি হচ্ছে, তবে অনেক সহজেই আপনি সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। আজ এবং এখনই একটি কাগজ-কলম নিয়ে আপনার নেতিবাচক সকল বৈশিষ্ট্যগুলো লিপিবদ্ধ করুন। মানুষের জীবনে সীমাবদ্ধতা থাকেই। কিন্তু সেগুলোকে ত্যাগ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে আপনাকেই। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এতে করে আপনি মনঃক্ষুণ্ণ হবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু একটু ভেবে দেখুন, আপনার সুযোগগুলো কিন্তু আরো বেড়ে গেল।
প্রতিদিন কয়েকবার করে আপনার লক্ষ্যগুলো পড়ে দেখুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি সর্বাগ্রে কী চান? নেতিবাচক যেকোনো কিছু ঘটতে পারে কিন্তু একবার ভাবুন, আপনি কি নিজেকে দমিয়ে রাখবেন? সেটা কি আপনাকে মানাবে?