বিশ্ব ‘লাফ’ দিবস বলে কিছু আছে বলে শোনা যায়নি। কিন্তু কাল ছিল জিম্বাবুইয়ানদের লাফানোর দিন। নিরোশান ডিকভেলাকে ফিরিয়ে ‘হাইফাইভ’ করতে শূন্যে লাফান টেন্ডাই চাতারা আর ক্রিস্টোফার পোফু। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস আউট হওয়ার পর লাফ দিলেন গ্রায়েম ক্রেমার, সিকান্দার রাজা ও পিটার মুর। শ্রীলঙ্কান ইনিংসে বিস্তর লাফালাফির পর ম্যাচের শেষ লাফটা দিলেন সিকান্দার রাজা। সেটি জয়সূচক ছক্কা মারার পর। সেখানে তাঁর সঙ্গী অপরাজিত আরেক ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ক্রেমার। সীমানার ওপারে থাকা বাকি সব খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ—সবাই-ই তখন আনন্দে লাফাচ্ছেন।
১০ জুলাই জিম্বাবুয়ে দলের জন্য লাফালাফির দিন হতেই পারে। এই সিরিজের আগে দেশে ও দেশের বাইরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮টি ওয়ানডে খেলেছে জিম্বাবুয়ে। জিতেছে মাত্র দুটি। সেই দুটিও নিজেদের মাঠে। আর এই সিরিজেই জিতল তিনটি ম্যাচ। যে তিনটি জয় শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ের বিমল আনন্দেও ভাসিয়েছে তাদের। ক্রেমার যথার্থই বলেছেন, ‘এই জয় খুব বিশেষ। দেশে সমর্থকেরা নিঃসন্দেহে আনন্দে লাফাবে।’ ওপেনার সলোমন মায়ার বললেন, ‘সারা বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব জিম্বাবুইয়ানের জন্যই আনন্দের এক মুহূর্ত এটা।’
দেশে আর দেশের বাইরে হারতে হারতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের ১১ নম্বরে নেমে গেছে জিম্বাবুয়ে। একসময় যে তারা বাংলাদেশকে বলেকয়ে হারাত আর ইংল্যান্ড, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল, সেটিকে দূর অতীতের কোনো রূপকথা মনে হতে শুরু করেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতেই নিজেদের দেশে আফগানিস্তানের কাছে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারার কলঙ্কও যোগ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সফরে সেই জিম্বাবুয়েই যেন জেগে উঠল নতুন করে। ২০০৯ সালে কেনিয়াকে হারানোর পর এই প্রথম বিদেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়। সেটি কী দাপট দেখিয়ে! প্রথম ম্যাচে ৩১৬ রান তাড়া করে ১৪ বল বাকি থাকতেই জিতেছে ৬ উইকেটে। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে কঠিন হয়ে যাওয়া চতুর্থ ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা এনেছে। আর ফাইনালে রূপ নেওয়া পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিতেও জিতল সব বিভাগে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ভালো খেলে।