সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশের বাজারে তিনটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে কম্পিউটার নির্মাতা ডেল। প্রথমত, গ্রাহকসেবা দিতে বাংলাদেশে সলিউশন সেন্টার তৈরি করা হবে আগামী দুই মাসের মধ্যে। দ্বিতীয়ত, ডেলের যেকোনো গ্রাহক তাঁর সমস্যা সমাধানে সরাসরি কথা বলতে পারবেন ডেলের এজেন্টের সঙ্গে। আর তৃতীয়ত, বাংলাদেশে ডেলের দলকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় মেধাবীদের ওপর জোর দেবে ডেল। বাংলাদেশ নিয়ে এভাবেই ডেলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলছিলেন ডেল-ইএমসির ভাইস প্রেসিডেন্ট চু চে ওয়ে। তিনি এশিয়া এমার্জিং মার্কেট এবং এপিজে নতুন ব্যবসায়ের দায়িত্বে আছেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
চলতি বছরে ডেলে চু চে ওয়ের কাজের দুই দশক পূর্ণ হলো। শুরু করেছিলেন বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসেবে। এই সময়টাতে ডেলে কী ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন? উত্তরে বলেন, ‘আমরা কখনো একক কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকিনি। শুরুটা ল্যাপটপ আর ডেস্কটপ কম্পিউটার দিয়ে হলেও ডেল সব সময় সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আর এ কারণেই নতুন নতুন ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করা হয়েছে, নতুন পণ্য বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’ অন্য সব প্রতিষ্ঠানে উত্থান-পতন থাকলেও ডেল সব সময় একই ধারায় এগিয়েছে বলে জানান তিনি। এর কারণ ডেল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। হাসতে হাসতে তিনি যোগ করেন, ‘নামের সঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেলের নাম জড়িয়ে আছে। আর কেই-বা চায় নিজের নামের বদনাম করতে!’
সবকিছু তারহীন করতে কাজ করে যাচ্ছে ডেল। শিগগিরই ল্যাপটপের জন্য তার ছাড়া ব্যাটারি চার্জ করার সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছেন চু চে ওয়ে। এ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ডেলের গবেষণা ও উন্নয়ন দল। আর ডেলের কথা বাদ দিলে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরগুলোতে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে সবচেয়ে বেশি জোর থাকবে।
এ সময়ে চু চে ওয়ের সঙ্গে ছিলেন ডেল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিকুর রহমান। বাংলাদেশের বাজারে ডেলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে তিনি গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রে পণ্যের ওয়ারেন্টি সেবা দেওয়ার কথা বলেন।
কাল সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে ডেলের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে একটি উপস্থাপনাও করেন চু চে ওয়ে।