চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। যারা হজে যেতে ইচ্ছুক তাদের প্রাক-নিবন্ধন শেষ হয়েছে। হজযাত্রীরা হজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, যাওয়ার প্রস্তুতি নেবেন জুলাই মাস থেকে।
এখানে ইসলাম ধর্মে হজের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের বয়ান দেওয়া হচ্ছে না। হজ আসলে এক সফর, এক দারুণ ভ্রমণ। সেই ভ্রমণ সংক্রান্ত কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। শুধু হজের নিয়ম-কানুন পালন করতেই আপনি বেশ কয়েকটি অপূর্ব স্থান দেখতে পারবেন। এখানে গুটিকয়েকের কথা জেনে নিন।
হেরা পর্বত
মক্কার হারাম এলাকার কাছেই জাবালে নূর বা হেরা পর্বত অবস্থিত। এ পাহাড়ের উচ্চতা ৫৬৫ মিটার। জাবালে নূরের শীর্ষে আরোহণ করতে সময় লাগে সোয়া ঘণ্টার মতো, আর নামতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই গুহায় বসে ধ্যান করতেন এবং পবিত্র কোরআন শরিফের প্রথম আয়াত এখানেই অবতীর্ণ হয়। কাজেই এখানে না গেলেই নয়।
আরাফা ময়দান
আরাফাতের ময়দান নামেই আমরা জানি। বিখ্যাত আরাফাতের প্রান্তর মক্কা শরিফ থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত। পবিত্র বায়তুল্লাহ থেকে ১৮ কি.মি. দক্ষিণ পূর্ব কোণে আরাফাত। এই ময়দান পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থে ৪ মাইল এবং দৈর্ঘে ৭-৮ মাইল বিস্তৃত।
সাওর গুহা
এর নাম জাবালে সাওর। হিজরতের সময় মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে এ গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তার সঙ্গে ছিলেন হজরত আবু বকর (রা.)। এটি কাবা শরিফ থেকে তিন মাইল দূরে অবস্থিত।
মসজিদে নামিরা
দর্শনীয় এক স্থাপত্য এই মসজিদ। আরাফাতের ময়দানের পশ্চিম সীমানা রয়েছে এই মসজিদ। আয়তন ১১০,০০০ বর্গমিটার। হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে এই মসজিদটি বানানো হয়।
মক্কা জাদুঘর
কাবা শরিফের কাছেই মক্কা জাদুঘর। এতে প্রবেশ করতে কোনো চার্জ দিতে হয় না। এ জাদুঘরে আছে সৌদি আরবের ইতিহাস আর ঐতিহ্য। এখানকার পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাব, বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি। পানির কূপ এবং কূপ থেকে পানি তোলার যন্ত্রপাতিও রয়েছে। দেখতে পারবেন প্রাচীন ধাতব মুদ্রা। এখানে আছে হাতে লেখা পবিত্র কোরআন শরিফ।
কাবার গিলাফ তৈরির কারখানা
দারুণ এক স্থান। উম্মুল জুদ এলাকায় গেলে দেখতে পাবেন পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ তৈরির কারখানা। সূত্র : ইন্টারনেট