Famous > History

History of Muslim'S

<< < (6/12) > >>

Anta:
Thanks for sharing  :)

Md. Zakaria Khan:
১০ মুহাররম : মহিমান্বিত এক দিন
মাহে মুহাররমে হযরত হুসাইন রা. স্বীয় লোকজনসহ জালিম ইয়াযীদ ও তার লোকদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছেন। সে জন্য মাহে মুহাররমে হযরত হুসাইন রা.-এর এ ত্যাগের কথা স্মরণ করে দীনের হিফাজতের জন্য জান-মাল কোরবানি করার প্রত্যয় করা আমাদের কর্তব্য। তবে স্মরণ রাখা দরকার যে, সৃষ্ট জগতের প্রলয় শিঙ্গার ফুৎকারের মাধ্যমে সাধিত হবে। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘আর শিঙ্গার ফুৎকার উচ্চকিত হবে, সেটা হবে নির্ধারিত দিনে।’ (সুরা ক্বাফ : আয়াত ২০)। আরো ইরশাদ হয়েছে : ‘যেদিন শিঙ্গার ফুৎকার উচ্চকিত হবে, সেদিন পৃথিবী ও আকাশমন্ডলীর বাসিন্দারা বেকারার হয়ে যাবে।’ (সূরা নমল : আয়াত ৮৭)। এই ফুৎকার মুহাররমের ১০ তারিখ কোনো এক শুক্রবার দিন উচ্চকিত হবে। কিন্তু কিছু লোক আশুরার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে অতিরঞ্জিত ও গর্হিত কার্যকলাপ দ্বারা বিদআত ও নাজায়েজ বিষয়ের অবতারণা করে চলেছেন। মুসলমানদের সেসব গর্হিত কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

আশুরার তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত
ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে অনন্য আশুরা। আশুরার অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত আছে। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
১. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে এলেন তখন ইয়াহুদিগণ আশুরার দিন রোজা রাখতেন। তারা জানাল, এ দিন মুসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বললেন, মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার দিক থেকে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হাকদার। কাজেই তোমরা (আশুরার দিন) রোজা রাখ।’ (বুখারি)

Md. Zakaria Khan:
পড়ে দেখুন, একটি নতুন বিষয় আবিষ্কার করতে পারবেন ..
সূরা ফাতিহায় রয়েছে ৭টি আয়াত, তাই না? এই ৭টি আয়াতকে দুই ভাগ করুন। কিন্তু মাঝের আয়াতকে কোন ভাগেই রাখবেন না। একদম মাঝের আয়াতটিকে আলাদা রেখে দুই ভাগ করলে কী রকম দাঁড়ায় দেখুন-
১,২,৩
৫,৬,৭
মাঝে থাকবে আয়াত নাম্বার ৪, তাই না?
এবার প্রথম তিনটি আয়াতে কি বলা হচ্ছে দেখে নিই।
১ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি।'
২য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।'
৩য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যিনি বিচার দিনের মালিক।'
৪র্থ আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।' এটি কিন্তু মাঝের আয়াত।এটি কোন ভাগেই পড়বে না। এটিকে কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। এই আয়াত দিয়েই আমরা প্রথম ভাগ আর পরের ভাগকে যাচাই করবো।
পরের ভাগের আয়াত গুলোতে কি বলা হচ্ছে দেখুন ..
৫ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমাদের সরলপথে পরিচালিত করুন।'
৬ষ্ঠ  আয়াতে বলা হচ্ছে- 'ওই সব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন।'
৭ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তাদের পথে নয়, যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'
আসুন, এবার আমরা সিকুয়েন্সটি মিলাতে চেষ্টা করি।
প্রথম ভাগের আয়াতগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসা যাক।প্রথম অংশের আয়াতগুলো হলো-
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি। তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক"
মাঝখানে আছে "আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।" আর পরের অংশে আছে,
'আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন। ওইসব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়,যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'
মাঝখানের, অর্থাৎ ৪ নাম্বার আয়াতে দুটো অংশ আছে। "আমরা তোমারই ইবাদত করি" এতটুকু একটি অংশ এবং "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি" এতটুকু একটি অংশ।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই আয়াতের প্রথম অংশ সূরার প্রথম তিন আয়াতের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পরের অংশ প্রতিনিধিত্ব করছে সূরার পরের তিন আয়াতের। এই আয়াতের প্রথম অংশ দিয়ে ওপরের তিন আয়াতকে যাচাই করা যাক-
"আমরা তোমারই ইবাদত করি"
আমরা কার ইবাদত করি?
সকল  প্রশংসা যার এবং যিনি সৃষ্টি জগতের  অধিপতি।[ সূরা ফাতিহার ১ম আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
যিনি  পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। [২য় আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
যিনি বিচার দিনের মালিক। [৩য় আয়াত]
দারুণ না?
এবার আসা যাক ওই আয়াতের পরের অংশে। যেখানে বলা হচ্ছে - "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি "
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা সরল পথে চলতে পারি"। [সূরা ফাতিহার ৫ম আয়াত]
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা নিয়ামত প্রাপ্তদের দলে ভিড়তে পারি"। [৬ষ্ঠ আয়াত]
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের দলের অন্তর্ভুক্ত না হই"। [৭ম আয়াত]
চিন্তা করে দেখুন-  আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা এই ছোট্ট সূরাটার মধ্যেও কী রকম ভাষার মান, সাহিত্য মান দিয়ে  দিয়েছেন।
প্রথমে কিছু কথা, মাঝখানে একটি বাক্য, শেষে আরো কিছু কথা। কিন্তু মাঝখানের সেই বাক্যটিকে এমন ভাবে সাজিয়েছেন এবং এমন ভাবে বলেছেন, যেটি প্রথম এবং শেষ -দুটো অংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ!!!  Collected

Md. Zakaria Khan:
হযরত মুসা (আঃ) এর জামানার চমৎকার একটি ঘটনা।



হযরত মুসা(আঃ) একবার আল্লাহ্ তায়া'লা কে জিজ্ঞেস করলেন,হে আল্লাহ্!

জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে?

জবাবে বলা হলো,ওমুক কসাই !

জবাবে কসাইয়ের নাম শুনে মুসা (আঃ) খুবই আশ্চর্য হলেন। অনেক খোঁজ করার পর মুসা (আঃ) তাকে বের করলেন।



দেখলেন, কসাই গোস্ত বিক্রিতে ব্যস্ত! সবশেষে কসাই একটুকরো গোস্ত একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন । অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। মুসা (আঃ) তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্যে অনুমতি নিয়ে পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন। কসাই বাড়ি পৌঁছে গোস্ত রান্না করলেন। অতপর রুটি বানিয়ে তা গোস্তের ঝোলে মেখে নরম করলেন। তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন । তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে দিতে লাগলেন।



খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন।



দূর থেকে মুসা (আঃ) সব-ই দেখছিলেন।



কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না। মুসা (আঃ) বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন।

কসাই বললেন, ওনি আমার মা আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই।

আর, মা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার কানের কাছে এসে আল্লাহ্ তায়া'লার কাছে এই বলে দোআ করেন,

"আল্লাহ্ তায়া'লা তোমাকে বেহেস্ত দান করুক এবং মুসা (আঃ) এর সাথে রাখুক"! আমি এই দোআ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি যে, কোথায় মুসা (আঃ)আর কোথায় আমি।



ইয়া আল্লাহ আমাদের মন মানষিকতা, সেই কসাইয়ের মত করে দাও, আল্লাহ তায়া'লা যেন আমাদের মা বাবার খেদমত করার তাওফীক দান করেন ।



আমীন।

#সংগ্রহীত

Md Kamrul Hasan:
Thanks for sharing.

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version