Famous > History

History of Muslim'S

<< < (7/12) > >>

Md. Zakaria Khan:
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, "তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।"
তাকে প্রশ্ন করা হলো, "সেটা কীভাবে হয়?"
তিনি উত্তর দিলেন, "যখন তোমরা ভালোবাসো, তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও। আর যখন ঘৃণা করো, তখন তোমরা তোমাদের সঙ্গীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো।"
[আল-বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ -১৩২২]

Md. Zakaria Khan:
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব, কখনও ভয়ভীতি, কখনও অনাহার দিয়ে, কখনও তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দান করো।’ –সূরা বাকারা: ১৫৫

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ –সুনানে ইবনে মাজাহ

Md. Zakaria Khan:
‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ কী?
মহান আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা বাক্যের মধ্য সবচেয়ে মর্যাদাবান তাসবিহ হলো- (اللَّهُ أَكْبَرُ) আল্লাহু আকবার। মর্যাদাসম্পন্ন জিকির ও তাকবিরের মধ্যেও এটি সবচেয়ে বড়। এ তাকবিরের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর একান্ত কাছাকাছি হয়।
‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) অর্থ হচ্ছে- হাকিকত এবং আক্ষরিক অর্থে আল্লাহ তাআলা সব কিছুর চেয়ে বড় এবং মহান। তিনি ইলম (জ্ঞান), কুদরাত (ক্ষমতা), সামি (শোনা), বাসির (দেখা) এবং কর্তৃত্বে সব কিছুর চেয়ে বড়। এমনকি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সত্ত্বাগত দিক থেকেও সবচেয়ে বড়। কিন্তু তিনি কত বড়? সাত আসমান এবং সাত জমিন পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার হাতের তালুতে কীসের মতো?
মহান আল্লাহর কাছে এসব (এতোই ছোট); যেন আমাদের কারো হাতের তালুতে একটা সরিষার দানার মতো! কেননা আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেন-
১. وَ مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدۡرِهٖ وَ الۡاَرۡضُ جَمِیۡعًا قَبۡضَتُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ السَّمٰوٰتُ مَطۡوِیّٰتٌۢ بِیَمِیۡنِهٖ ؕسُبۡحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
‘ওরা আল্লাহর যথোচিত কদর করেনি। তেয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে তাঁর ডান হাতে গুটানো। পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা যাকে অংশী করে, তিনি তার উর্ধ্বে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৭)
২. یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
‘সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দপ্তর; যেভাবে আমি সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য; আমি এটা পালন করবই।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৪)
আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়, যেমন- তাঁর আসমা (সুন্দরতম নামসমূহ) ও সিফাত (সুমহান গুণাবলীতে); একইভাবে তিনি নিজেও সবকিছুর চেয়ে বড়। আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্বের প্রকৃত বাস্তবতা অনুধাবন করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আরশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, আরশ কত বড় সেটা মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। তাহলে চিন্তা করে দেখুন, আরশের সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) কত বড় সেটা বুঝা মানুষের জন্য কতটা সম্ভব! ত্বইয়্যিব!
সুতরাং তুমি যখন বলো- ‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) তখন তুমি এটা অনুভব করবে যে, আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়। তিনি ইলম, ক্বুদরত, হিকমত, সমস্ত কাজ পরিচালনার দিক থেকে সবচেয়ে মহান, অনুরূপভাবে তিনি নিজে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়।
যারাই মহান আল্লাহর প্রশংসায় অন্তর থেকে আল্লাহর জন্য এ তাকবির দেবেন; আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। কেননা ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির, তাকবিরে তাশরিক ও জিকিরের ফজিলত থেকেই তা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উচ্চকণ্ঠে ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবিরের ঘোষণা দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহু আকবারের অর্থ ও মহত্ব বুঝার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর প্রশংসা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Md. Zakaria Khan:
মুমিন কখনো হতাশ হয় না :-
আল্লাহ তাআ’লা তাঁর সৃষ্টি এ মহাবিশ্বকে বানিয়েছেন একটা বিশাল পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে, আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে বলেন- আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তােমাদের) জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৫)।
 মুমিনদের জন্য পরিক্ষা আসবেই যে পরিক্ষা থেকে বাদ পরেননি কোনো নবী ও রাসূলগন ।আমরা যদি শিশু নবী মূসা (আ.) জীবনী দেখি জন্মের পর তার মাকে নির্দেশ করা হল তাকে যেন একটি বাক্সে ভরে ভাসিয়ে দেয়া হয়, পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী - আর আমি মুসার মায়ের নিকট এই মর্মে নির্দেশ পাঠালাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও । অত:পর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে তখন তাকে নদীতে নিক্ষেপ করবে। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)
একদিকে ফিরাউন বাহিনী অন্য দিকে সন্তানকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া এ যেন স্থলের সিংহের ভয়ে জলের কুমিরের মুখে সন্তানকে ঠেলে দেওয়ার মত কিছু। আমার/আপনার মনে যে ভয় তা কি মুসা আ. এর মায়ের মনে উদয় হয়নি? হয়েছে তবে তাকে হতাশা কিংবা ভয় গ্রাস করতে পারেনি তিনি আল্লাহ তাআলা’র উপর পরিপূর্ণ ভরসা করেছেন,তখন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেন- আর একদম ভয় করবে না এবং চিন্তাও করবে না। নিশ্চয়ই আমি তােমার। সন্তানকে তােমার নিকট ফিরিয়ে দেবো এবং তাকে রাসুলদের অন্তর্ভুক্ত করব। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)।।
দুনিয়া হলো মুমিনের জন্য কারাগার (সহীহ মুসলিম : ২৯৫৬)। দুঃখ কষ্ট বেদনা যন্ত্রণার জায়গা। থাকা খাওয়ার কষ্ট, ভাল না লাগা প্রিয় মানুষ হারানোর যন্ত্রণা, নিজের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়ন করতে না পারার অসীম বেদনা, মনের গহিনে লুকাইত সুপ্ত যন্ত্রণা যা হয়তবা এ পৃথিবীর কেউ জানেনা।
অতএব যারা মুমিন আল্লাহর প্রকৃত মুমিন বান্দা তাদের জন্য তো দুনিয়া কারাগার। আর কারাগার মানেই তো দুঃখ আর কষ্টের জায়গা। মুমিনের জন্য দুনিয়াতে দুঃখ কষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবুও মুমিনে কখনো হতাশ হবে না। মুমিন এই সমস্যা গুলোকে সাথে নিয়েই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা’র উপর ভরসা করে হতাশ না হয়ে আমৃত্যু জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, আর এটাই হল একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য।

Md. Zakaria Khan:
লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ  কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ  কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

 ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।

উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version