নেইমার-অ্যাসেনসিও। মেসি-রোনালদোর পর ফুটবলের পরবর্তী দ্বৈরথ এটা! কয়েক দিন আগে কথাটা বলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লিওনেল মেসিকে জিজ্ঞেস করলে নেইমারের সঙ্গে কার কথা বলবেন, কে জানে। তবে জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি বলছেন, মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ পাওলো দিবালার কথা।
৯৮ ম্যাচে ৪৯ গোল, গোল করিয়েছেন ১৬টি। এই পরিসংখ্যানই বলছে জুভেন্টাসে পাওলো দিবালা ফুল ফোটাচ্ছেন। আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডে মুগ্ধ তো হবেনই অ্যালেগ্রি। গত পরশুও সিরি ‘আ’তে কিয়েভোর বিপক্ষে দলকে ৩-০ গোলে জেতাতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। ৫৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে গঞ্জালো হিগুয়েইনকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছেন। এরপর দলের তৃতীয় গোলটি করেছেন নিজে। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে অ্যালেগ্রিও দিবালাকে নিয়ে খুলে দিয়েছেন তাঁর প্রশংসার ঝাঁপি, ‘মেসি আর রোনালদো অবসর নেওয়ার পর নেইমারের সঙ্গে সেরা দুই খেলোয়াড়ের একজন হওয়ার সব রসদই ওর আছে।’ বয়স মাত্র ২৩। এখনো উন্নতি করার সময় আছে দিবালার। কোচ হিসেবে খুব কাছ থেকে তাঁকে দেখেছেন। দিবালা উন্নতিটা খুব দ্রুতই করছেন বলে মনে হচ্ছে অ্যালেগ্রির, ‘টেকনিক্যাল বা শারীরিক দুই দিক থেকেই ও দারুণ উন্নতি করছে। ও যা করছে, তাতে আমি খুশি। ওর কোচ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’
জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ খেলে সদ্যই ইতালিতে ফিরেছেন। তবে ভ্রমণক্লান্তি পেছনে ফেলে দলের জন্য যা করতে পেরেছেন, সেটা নিয়ে খুশি দিবালাও, ‘আমি কিছুটা ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু গোল করে আমি খুশি। দল জয়ের পথে ছিল। তাই নিজের মতো খেলতে পেরেছি। কোচ আমাকে মাঠে নামানোর পর কৌশল পরিবর্তন করেছি আমরা। ’দিবালাই যে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন, সেটা বলেছেন প্রতিপক্ষ কিয়েভোর কোচ রোলানদো মারানও, ‘নিশ্চিত করেই দিবালা নেমে জুভেন্টাসে প্রাণের সঞ্চার করেছে। দিবালা মাঠে নামার আগ পর্যন্ত জুভেন্টাস আমাদের চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।’