সিগারেট থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর ‘মোমবাতি’!

Author Topic: সিগারেট থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর ‘মোমবাতি’!  (Read 722 times)

Offline protima.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 429
  • Test
    • View Profile
সিগারেট থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর ‘মোমবাতি’!
সিগারেট থেকেও মারাত্মক ক্ষতিকর ‘মোমবাতি’ – সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালালে ক্ষতিকর টক্সিনে সারা ঘর ভরে যায়। এর প্রভাবে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। যদিও এই ক্ষতি আমাদের চোখে পড়েনা, ফলে আমরা জানতেই পারিনা যে মোমাবাতি ধীরে ধীরে আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। কমিয়ে দিচ্ছে আয়ু। একাধিক গবেষণায় প্রামাণিত হয়েছে যে স্মোকিং-এর থেকেও বেশি ক্ষতি করে এইসব সুগন্ধি মোমবাতিগুলি। বেশিরভাগ মোমমাবাতিতেই ট্রিক্য়ালেকথেন, এসেটন, জাইলিন, পেনল, ক্রেসল, ক্লোরোবেনজেন প্রভৃতি ক্ষতিকর টক্সিন থাকে, যেগুলি আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ থাকি।

১। শ্বাস কষ্ট এবং অ্যাস্থেমাঃ মোমবাতি তৈরি করতে যে মোম ব্যবহার করা হয় তাতে এমন কিছু টক্সিন থাকে, যা অ্যাস্থেমা সহ একাধিক রেসপিরেটরি প্রবলেম হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। আসলে মোমমবাতির ধোঁয়ার সঙ্গে বেরনো টক্সিন ফুসফুসের কর্মক্ষমতাকে ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। ফলে এক সময় গিয়ে মারাত্মক ধরনের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এবং শ্বাস কষ্টের পরিমাণ বেড়ে যায়।

২। মাথা ব্যাথাঃ এই সুগন্ধি মোমবাতির আরেকটি মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব হল মাথা যন্ত্রণা হওয়া। এসব মোমবাতিতে বেনঞ্জিন এবং টলুয়েন নামে দুটি কেমিক্যাল পদার্থ থাকে। যার ধোঁয়া যে মুহূর্তে নাকে এসে পৌঁছায়, ঠিক তখনি শুরু হয়ে যায় মাথা যন্ত্রণা।

৩। কিডনিতে টিউমারঃ বেশিরভাগ মোমবাতিতে প্যারাফিন্তেল নামে একটি উপাদান থাকে। যার ধোঁয়ার মাধ্যমে শরীরের প্রবেশ করলে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে কিডনি টিউমার হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। তাই বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজন ছাড়া মোমবতি জ্বালাতে মানা করে থাকেন।

৪। অ্যালার্জিঃ মোমবাতি তৈরি করায় সময় এদের গায়ে এক ধরনের সিন্থেটিক সেন্ট দেওয়া হয়। যে কারণে মোমবাতি গুলো সুগন্ধি হয়ে থাকে। এই বিশেষ ধরনের সুগন্ধি রেসপিরেটরি ট্রাক্টের উপর কুপ্রভাব ফেলে, ফলে প্রথমে শ্বাস কষ্ট, তারপর সারা শরীরে অ্যালার্জি এর মত মারাত্মক রোগের আশঙ্কা দেখা দেয়।

৫। ক্যান্সারঃ একাধিক গবষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মোমবাতিতে উপস্থিত বেনঞ্জিন এবং টলুয়েন থাকে। এরা বেশি মাত্রায় আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে কোষেদের বিভাজন ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

Offline Anuz

  • Faculty
  • Hero Member
  • *
  • Posts: 1988
  • জীবনে আনন্দের সময় বড় কম, তাই সুযোগ পেলেই আনন্দ কর
    • View Profile
Anuz Kumar Chakrabarty
Assistant Professor
Department of General Educational Development
Faculty of Science and Information Technology
Daffodil International University