স্মার্টফোন আনলক করবে হার্ট!
হার্টের মাধ্যমে আনলক করা যাবে স্মার্টফোন। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি নতুন এক ধরণের কম্পিউটার সিকিউরিটি সিস্টেম ডেভেলপ করেছেন যার মাধ্যমে হার্ট স্ক্যান করে ফোন আনলক করা যাবে। অঙ্গের মাত্রা শনাক্ত করার মাধ্যমে এই আনলক প্রযুক্তি কাজ করবে।
হার্ট মাপতে সিস্টেমটি নিম্ম স্তরের ডপলার রাডার ব্যবহার করবে। পরবর্তীতে এটি ধারাবাহিকভাবে হার্ট পর্যবেক্ষণ করবে যাতে আর কেউ কম্পিউটার না চালাতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাফালো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই সিস্টেমটি ডেভেলপ করেছেন। পাসওয়ার্ড এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া থেকে এটি অনেক বেশি নিরাপদ এবং সম্ভাবনাময়ী। এই সিস্টেমটি মোবাইল ফোন এবং বিমানবন্দরের স্ক্রিনিং ব্যারিকেডেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বাফালো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ওয়েনায়ও জু বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি কম্পিউটারে এটি ব্যবহার করতে ইচ্ছুক কেনান সবারই গোপনীয়তা বজায় রাখার দরকার আছে।’
জু বলেন, ‘সিস্টেমটির রাডারের সিগন্যাল সক্ষমতা ওয়াই-ফাই থেকে কম। তাই এতে স্বাস্থ্যগত কোন ঝুঁকিও নেই। আমরা বর্তমানে ওয়াই-ফাই বেষ্টিত পরিবেশে রয়েছি। আর নতুন এই সিস্টেম ওয়াই-ফাই ডিভাইসের মতোই নিরাপদ। হার্ট রিডারটির বিকিরণ স্মার্টফোনের বিকিরণের থেকে ৫ মিলিওয়াট কম। হার্ট প্রথমবারের মতো স্ক্যান করতে সিস্টেমটির ৮ সেকেন্ড সময় লাগে। পরবর্তীতে মনিটরটি হার্ট চিনতে পারে।’
সিস্টেমটি তৈরি করতে ৩ বছর সময় লেগেছে। শনাক্তকরণের জন্য এটি হার্টের আকার-আকৃতি, জ্যামিতি অনুসরণ করে। জু বলেন, কোন যময সন্তানেরও একই হার্ট পাওয়া যায়নি। আর রোগে না ভুগলে কোন মানুষের হার্টের আকৃতিতে পরিবর্তন হয় না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং রেটিনা স্ক্যান থেকে হার্ট ভিত্তিক বায়োমেট্রিক অনেক বেশি নিরাপদ।
সিস্টেমটি ক্রমাগত গ্রাহককে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। অর্থাৎ, ভিন্ন কোন ব্যক্তি কম্পিউটারের সামনে থাকলে এই সিস্টেম কাজ করবে না। তাছাড়া কম্পিউটার লগ অফ করারও প্রয়োজন পড়বে না। কম্পিউটার কিবোর্ডের এক কোণায় এই সিস্টেমটি যুক্ত করতে চান জু। সিস্টেমটি স্মার্টফোনেও যুক্ত করা যেতে পারে। বিমানবন্দরে ৩০ মিটার দূর থেকে ডিভাইসটি গ্রাহক শনাক্ত করতে পারে।