৩৯ বছর আগে এক ভারতীয় আবিষ্কার করেছিলেন ইমেল। আজ তিনি উপেক্ষিত:
ইমেল প্রযুক্তি আবিষ্কারের পরে কেটে গিয়েছে ৩৯ বছর। দিনে দিনে আরও উন্নত হয়েছে ইমেল ব্যবস্থা। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় ক’জন আর মনে রেখেছেন আয়াদুরাই-এর নাম!
আজকের দিনে ‘ইমেল’ শব্দটার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় যে, ৩২ বছর আগে এক ১৪ বছর ভারতীয় কিশোর আবিষ্কার করেছিলেন ইমেল প্রযুক্তি, তা হলে বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। অথচ এটাই সত্যি। ভি এ শিবা আয়াদুরাই নামের ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৈজ্ঞানিকের আবিষ্কার করা সেই ইমেল সিস্টেম-এ ইনবক্স, আউটবক্স, ফোল্ডারস, মেমো, অ্যাটাচমেন্টস, অ্যাড্রেস বুক ইত্যাদি সমস্ত বিভাগই ছিল, যেগুলি এ যুগের ইমেল সিস্টেমের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।
মুম্বই নিবাসী এক তামিল পরিবারে জন্ম হয় আয়াদুরাইযের। আয়াদুরাইয়ের বয়স যখন ৭ বছর, তখনই তাঁর পরিবার আমেরিকায় চলে যায়। যখন নিউ জার্সি-র লিভিংটন হাই স্কুলে পড়াশোনা করছেন আয়াদুরাই, তখনই ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিন এবং ডেন্টিস্ট্রি অফ নিউ জার্সির জন্য ইমেল সিস্টেম বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন তিনি।
আয়াদুরাই নিবিড় মনোযোগ সহকারে লক্ষ করেছিলেন, এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক সেক্রেটারির কাছে একটি টাইপরাইটার ছাড়াও রয়েছে আলাদা আলাদা ফাইল— কোনওটির উপর লেখা ইনবক্স, কোনওটির উপরে আউটবক্স, কোনওটিতে ড্রাফটস, কোনওটিতে অ্যাড্রেস বুক ইত্যাদি। প্রত্যেকটা ফাইলে আলাদা আলাদা রকমের কাগজ, চিঠিচাপাটি সংরক্ষিত হতো। এই বন্দোবস্ত দেখেই ইমেল ব্যবস্থার আইডিয়া আসে আয়াদুরাইয়ের মাথায়।
মাথা খাটিয়ে এই চিঠিচাপাটির বন্দোবস্তের একটি ইলেকট্রনিক সংস্করণ তৈরি করেন আযাদুরাই। তিনি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করেন যাতে ৫০ হাজার কোড লাইন রয়েছে। এতে সনাতন মেল সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি ফোল্ডারই রাখা হয়— ইনবক্স, আউটবক্স, ড্রাফটস ইত্যাদি। এই ইলেকট্রনিক মেইল
সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে সংশ্লিষ্ট দু’টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা একে অন্যকে চিঠি পাঠানোর সুবিধা পেতে শুরু করেন।