পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে সচরাচর আমরা জিজ্ঞেস করি, কেমন আছেন? মুলত যে বিষয়টার খবর আমরা জানতে চাই, তা হলো স্বাস্থ্য। শরীরটা ভালো যাচ্ছে তো, কোন অসুখ বিসুখ দানা বেঁধেছে কি না। আবার পুরোন অসুখ থাকলে সেগুলো স্থিতিশীল বা ভালোর দিকে যাচ্ছে কি না। আমি আপনাকে একই প্রশ্ন করছি, আপনার শরীর ভালো তো?
আপনি বলবেন, হ্যাঁ, ভালো আছি, বেশ ভালো।
গুড! ভালো থাকলেই ভালো। এরকমটাই চাওয়া। আচ্ছা, সেই ভালো থাকাটা কতটুকু ভালো একটু খেয়াল করে দেখছেন কি? স্বাস্থ্যের সাথে জড়িয়ে একটা শব্দ বলা হয় ‘ফিটনেস’। খেলোয়ারদের বেলায় বেশি শোনা যায়। অমুকের তো শারীরিক ফিটনেস নাই, তাকে দলে রাখার কোন মানে হয় না। খালি চোখে ভালো বা সুস্থ দেখালেও ফিটনেসে রয়েছে অধিকাংশ মানুষের সাঙ্ঘাতিক ঘাটতি।
আপনার অনুসন্ধানী মন সচল করুণ। ছোট একটি পর্যবেক্ষণ করি। আপনার শ্রেনীর বা কর্মক্ষেত্রের অন্তত পাঁচজনকে গভীরভাবে খেয়াল করুণ। অথবা বাসে, ট্রেইনে কোথাও যাচ্ছেন, আসেপাশের পাঁচজন অপরিচিত মানুষকে মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করুণ। তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস লক্ষ্য করুণ, গলার স্বর ভালো করে শুনুন, কতবার হাচি কাশি দেয় হিসেব রাখুন। এরপর তাদের আলাপ শুনুন। কতবার তারা বলছে, ভালো লাগছে না, বিরক্ত লাগছে, বিমর্শ লাগছে, দুর্বল লাগছে, খেয়াল করুণ। আরো দেখুন তাদের চোখ, চোখের নিচের অংশ, নাখ, ঠোট, স্বাসের ওঠানামা, শারীরিক আকার আকৃতি।
এবার আপনি বলুন, যে পাঁচজন মানুষকে পর্যবেক্ষণ করলেন তাদের ফিটনেস কেমন? ১০০ নম্বরের মধ্যে কে কত পাবে? তাদের গড় নম্বর কত?
এই পরীক্ষাটা আপনি আপনার নিজের স্বাস্থ্যের জন্য অথবা পরিবার, পরিচিতদের জন্যও করতে পারেন।
আমি যত জনকে এভাবে দেখেছি, তাদের গড় নম্বর ৫০ থেকে ৬০ এর মধ্যে ছিল। এর বেশি দেয়া সম্ভব হয়নি। তাহলে বলেন, দেহ যদি আপনার গাড়ীর ইঞ্জিন হয়, আর সেই ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা যদি সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ হয়, তবে ফলাফল কেমন হবে?