বিশ্বে এ সময়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ বৈষম্য বা অসমতা। আজ বৈশ্বিক বৈষম্য যে পর্যায়ে রয়েছে, তা সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল উনিশ শতকের শেষ দিকে। এবং সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয়, এটা বেড়েই চলছে। বৈষম্যের সঙ্গে অবধারিতভাবে আসে বঞ্চিত হওয়ার অনুভূতি, যা তৈরি করে বিচ্ছিন্নতাবোধ ও ক্রোধের। এমনকি রক্ষণশীল জাতীয়তাবাদ ও জেনোফোবিয়াও (বিদেশী সম্পর্কে অহেতুক ভয়) তৈরি হয়। যখনই মানুষ নিজেদের কমতে থাকা সম্পদের ভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে, তখন তাদের উদ্বেগ রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীদের জন্য ফয়াদা লোটার পরিস্থিতি তৈরি করে। তারা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বে অস্থিরতা তৈরি করে।
বর্তমানে ধনী ও গরিবদের মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা চিন্তা করলে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, বিশ্বের শীর্ষ আট ধনী ব্যক্তি যে পরিমাণ সম্পদের মালিক, তা দরিদ্রতম ৩৬০ কোটি জনগোষ্ঠীর সম্পদের সমান। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স দেখিয়েছেন, বর্তমানে ওয়াল মার্টের মালিক ওয়ালটন পরিবারের কাছে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৪২ শতাংশের চেয়ে বেশি সম্পদ।