গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও দিনে ৩ কাপের বেশি খাওয়া উচিত নয়। এর বেশি গ্রিন টি খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। বেশি পরিমাণ গ্রিন টি শরীর থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান বের করে দিতে পারে। সকালে মেটাবোলিজমের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সকালে উঠে গ্রিন টি খুবই উপকারী। আবার সন্ধ্যাবেলা যখন আমাদের মেটাবলিজমের মাত্রা কমে যায় তখন গ্রি টি মেটাবলিজম মাত্রা বাড়তে সাহায্য করে।
তাই গ্রিন টি খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় সকাল ১০-১১টা মধ্যে বা সন্ধেবেলা।
এছাড়া সকাল ও সন্ধ্যা দুই সময়ের জন্যই ভাল গ্রিন টি। তবে যাদের ঘুম নিয়ে সমস্যা রয়েছে তাদের সন্ধ্যাবেলা গ্রিন টি না খাওয়াই ভাল কারণ তা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আবার যেহেতু গ্রিন টি ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে তাই খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পর গ্রিন টি খাওয়াও উপকারী।
অন্যান্য চায়ের মতো গ্রিন টি আমাদের শরীরে জারিত হয় না। তাই এই চা অন্য চায়ের তুলনায় স্বাস্থ্যকর। অনেক রকম ফ্লেভার তো বটেই, বাজারে ভেষজ গ্রিন টি-ও পাওয়া যায়। গ্রিন টি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল ও ট্রাইগ্লিসারাইড জমতে দেয় না। রক্তনালীতে এই সব ফ্যাট জমলে রক্ত সঞ্চালন বাধা পায়।
মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়িয়ে দ্রুত ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি পলিফেনল ও ফ্লাভনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী।