ওজন বাড়াতে যা প্রয়োজন

Author Topic: ওজন বাড়াতে যা প্রয়োজন  (Read 929 times)

Offline saima rhemu

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 237
  • Test
    • View Profile
ওজন বাড়াতে যা প্রয়োজন
« on: April 28, 2018, 04:29:04 PM »
শারীরিকভাবে ক্ষীণকায় ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায় কীভাবে যে মোটা হওয়া যায়, এত খাই কিন্তু মোটা হতে পারি না। কত জায়গায়ই না গেলাম, স্বাস্থ্য ভালো করবে—কিন্তু কোনো লাভ হলো না। ক্ষীণকায় ব্যক্তির ওজন স্বাভাবিক ওজন অপেক্ষা অনেক কম থাকে। তারা সব সময়ই দুর্বল বোধ করেন এবং সহজ জীবনযাত্রা ও আনন্দ থেকে অনেকভাবেই বঞ্চিত হন।

চিকিত্সকের সাহায্যে শরীর পরীক্ষা করে যদি কোনো রোগ পাওয়া যায়, তার চিকিত্সা করাতে হবে। পেটের অসুখ, কৃমি, আমাশয় অথবা কোনো সংক্রামক রোগ থাকলে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করলেও ওজন কমে যেতে থাকে। অতিরিক্ত ক্লান্ত থাকলেও ক্রমাগত ওজন কমে যেতে থাকে। এমন হলে বিশ্রাম, নিদ্রা ইত্যাদি বাড়িয়ে রোগীকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে। না হলে শুধু খাদ্যের পরিমাণ বাড়ালেই ওজন বাড়বে না। দেহ কৃশ হলে বুঝতে হবে যে, তার দৈনন্দিন খাদ্য দেহের শক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ফলে দেহের মেদ খরচ হয়ে শক্তির চাহিদা পূরণের চেষ্টা চলে। এ অবস্থায় প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাদ্যের পরিবর্তন সাধন করতে হবে। দেহ গঠনকারী খাদ্য এমন হতে হবে যাতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। প্রথম দিকে হঠাত্ করে এ রকম উচ্চ ক্যালরি মূল্যের খাদ্য দিলে পরিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। সেজন্য প্রতিদিন অল্প অল্প করে বাড়তি খাদ্য দিয়ে পরিপাক যন্ত্রকে অভ্যস্ত করতে হয় এবং এর পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে হয়। এভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চ ক্যালরির খাদ্যে অভ্যস্তকরণ সম্ভব হয়। মাখন, ঘি, তেল, সর, তিল, আলু, ভাত, মিষ্টি, ডাল, বাদাম ইত্যাদি যেসব খাদ্য মোটা ব্যক্তিদের খাওয়া উচিত নয়, সেসব খাদ্যই কৃশ ব্যক্তিদের বেশি পরিমাণে খাওয়া দরকার। কৃশ ব্যক্তিদের যদি সাধ্যে কুলায় তা হলে ৯০-১০০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন দেওয়া ভালো। ডিম, মাংস, দুধ ও মাছে প্রচুর পরিমাণে উত্তম মানের প্রোটিন পাওয়া যায়। উচ্চ ক্যালরি মূল্যের খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ লবণের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

খাদ্য পরিকল্পনা

উচ্চ ক্যালরি মূল্যের খাদ্য পরিকল্পনার সময় খাদ্য যেন সুস্বাদু ও আকর্ষণীয় হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। ক্যালরি বেশি থাকলেও খাদ্যের পরিমাণ এমন হতে হবে যেন রোগী বুঝতে না পারেন যে, তিনি অনেক বেশি খাচ্ছেন। মাখন, সর, মিষ্টি, কেক ইত্যাদি যেসব খাদ্যের আয়তন ক্যালরি অনুপাতে কম, প্রতিবেলায় মেন্যু পরিকল্পনার সময় সেসব খাদ্য কিছু কিছু নির্বাচন করতে হবে।

ক্ষীণ ব্যক্তিদের হজমশক্তি সাধারণত ভালো থাকে না একথা মনে রেখে সহজপাচ্য খাদ্যবস্তু নির্বাচন করতে হয়। শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন—রুটি, ভাত, আলু, চিনি ইত্যাদি চর্বি জাতীয় খাদ্য অপেক্ষা সহজলভ্য। প্রথম দিকে সহজপাচ্য খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্যালরিবহুল খাদ্য মেন্যুতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। মোটকথা এটা মনে রাখতে হবে যে, দেহের ক্যালরি খরচের জন্য যে চাহিদা দরকার তা মিটিয়ে শরীরে মেদ জমতে পারে এ পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা দরকার।

Saima Amin
Assistant Coordination Officer
Department of Architecture
Email: archoffice@daffodilvarsity.edu.bd
Cell: 01847140045, Ext: 299