বিগত ৩০ বছরে, সামান্য লবণ, চিনি/গুড় ও পরিষ্কার পানির মিশ্রণ পৃথিবীব্যাপি প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোকের জীবন রক্ষা করেছে , স্পেশালি শিশুদের পানিশূন্যতার হাত থেকে । এ গল্প হয়ত আমাদের অনেকের জানা , কিন্তু এর পেছনের গল্প আমাদের এক বাংলাদেশি ডক্টরের , এটি হয়তো আমাদের অনেকেরই জানা নেই।
১৯৭১ সালে ভারতে যখন বাংলাদেশী শরণার্থী শিবিরে কলেরা ছড়িয়ে যায় তখন এটিকে প্রতিরোধ করার মত তখনো সেইরকম কোন ঔষধ আবিষ্কৃত হয় নি। তখন International Centre for Diarrhoeal Disease Research, Bangladesh (icddr,b) এর গবেষণায় স্যালাইনের প্রাথমিক ফর্মূলা আবিষ্কৃত হয়। যার অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন ড. রফিকুল ইসলাম ।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ব্র্যাকের সহায়তায় এই স্যালাইন বানানোর পদ্ধতি পুরো দেশ জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয় । তৎকালীন তা “ঢাকা স্যালাইন” নামেও পরিচিত ছিল।
১৯৭৮ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসাবিষয়ক পত্রিকা The Lancet ওরস্যালাইনকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ইনভেশন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই আবিষ্কারকে স্বীকৃতি দেয়।বি:দ্র: বাংলাদেশের গণস্বাস্থ্য হাসপাতালই সর্বপ্রথম এই স্যালাইন বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাতকরণ শুরু করে।।
বাংলাদেশের এই কৃতি বিজ্ঞানী গত মার্চ মাসের ৫ তারিখ মারা যান। এই প্রজন্ম হয়তো কখনোই জানবে না এই দেশেও একজন বিজ্ঞানী ছিল যার আবিষ্কার এখনো বিশ্বে কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করে চলেছে।।
Source:
https://blog.robij.org/biography/inventor-of-orsalain/