আজ ২৫শে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ তম জন্মবার্ষিকী।
১৮৬১ সালের ৭ই মে, বাংলা ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করে।
রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য উজ্জ্বল প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বের নাম। তিনি তাঁর প্রতিভাগুণে বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, সংগীতস্রষ্টা, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, ঐপন্যাসিক, চিত্রশিল্পী, পত্রলেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক কোন উপাধীতেই না ভূষিত করা যায় রবি ঠাকুরকে! ধর্মান্ধতা, অশিক্ষা-কুশিক্ষা, পাপাচার, কুসংষ্কার, অন্যায়-অত্যাচার এবং অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন বিশ্বকবি।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ভাবনালোকে শান্তিকে দেখেছেন বড়ো করে। সত্য, সুন্দর, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর একান্ত সাধনার বিষয়। তিনি সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে ভালোবেসেছেন, বিশ্বমানবতার জয়গান গেয়েছেন তাঁর কাব্যে। এজন্যই তো তিনি বিশ্বকবি।
১৯১৩ সালে Gitanjali ( Song Offerings) কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্যে সর্বপ্রথম বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন রবি ঠাকুর। বাংলাদেশ এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীত তিনি রচনা করেছেন। এই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কৃষিব্যাংক স্থাপন করেন রবীন্দ্রনাথ।
প্রেম, বিরহ, সুখ, দুঃখ, আবেগ ভালোবাসার এক চিরায়ত সম্মিলন স্থল রবীন্দ্রনাথ। অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত কোথাও রবি ঠাকুরকে অস্বীকার করার উপায় নেই।
রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ধর্মের ছিলেন। তিনি একেশ্বরবাদী বিশ্বাসী ছিলেন, মূর্তিপূজায় তিনি বরাবরই বিরোধী ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। তিনি দেশ ও জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতা সেসময় মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল। একজন যথার্থ বাঙালি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে রবীন্দ্রনাথ তার পক্ষে অতি জরুরী। রবীন্দ্রনাথ ছাড়া একজন বাঙালির জীবনের পূর্ণতা ঘটতে পারেনা।
বাঙালির অস্তিত্ব, মেধা-মননে, সৃষ্টিশীলতায়, কর্মে সবসময়ই রবীন্দ্রনাথ ছিলো, রবীন্দ্রনাথ আছে, রবীন্দ্রনাথ থাকবে।