মগজ তো রিচার্জ হয়। দেহকোষ-গুলোর মেরামতি হয়ে যায়। শরীর থেকে উত্সারিত হয় গুরুত্বপূর্ণ সব হরমোন।
বয়সভেদে মানুষের ঘুমের চাহিদা
শিশুদের জন্য ১৬ ঘণ্টা।
৩-১২ বছরের ছোটদের জন্য ১০ ঘণ্টা।
১৩-১৮ বছরের কিশোর কিশোরীদের জন্য ১৩ ঘন্টা।
১৯-৫৫ বছরের লোকদের জন্য ৮ ঘণ্টা।
৬৫ উর্দ্ধ মানুষের জন্য ৬ ঘণ্টা।
যে অবস্থানে শুয়ে কেউ ঘুমায় তা তাঁর ব্যক্তিত্ব নির্ণয় করে।
বেশিরভাগ মানুষ ঘুমায় কুন্ডলি পাকিয়ে। (৪১%) এরা মনে হয় কর্কশ কিন্তু বস্তুত:এরা উষ্ণ হৃদয় ও খোলামনের। শক্ত কাঠের মত শুয়ে ঘুমায় যারা এরা সামাজিভাবে প্রজাপতির মত চরিত্র। (১৫%) বেঁকে শুয়ে ঘুমায় যারা (১৩%) মনে হয় এরা খোলা মনের, কিন্তু সন্দেহজনক। সৈন্যদের ভঙ্গীতে শোয়া (৮%) এরা সংরক্ষণশীল মনের। ঝরনার মত শোয়া (৭%) এরা পার্টিত বেশ হুল্লোড়বাজ। যারা মাছের ভঙ্গিতে ঘুম (৫%) এরা খুব ভালোশ্রোতা।
বিবাহিত দম্পত্তির চার জনের মধ্যে একজন ঘুমান ভিন্ন খাটে।
ব্রিটিশ সৈন্যরা প্রথম উদ্ভাবন করে একটানা ৩৬ ঘন্টা নির্ঘুম কাটানোর উপায়।
সবচেয়ে কম সময় ঘুমায় যেসব স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন- জিরাফ:দিনে ১.৫ ঘন্টা (৫-১০ মিনিটের সমান), রোয়ে হরিণ: দিনে ৩.০৯ ঘন্টা, এশিয়াটিক হাতী: দিনে ৩.১ ঘন্টা।
সবচেয়ে দীর্ঘসময় ঘুমায় যেসব স্তন্যপায়ী প্রাণী, যেমন- কোয়েল: দিনে ২২ ঘন্টা, বাদামী বাদুর: ১৯.৯ ঘন্টা, প্যাংগোলিন: ১৮ ঘন্টা।
ডলফিনরা যখন ঘুমায়, তখন তাদের মগজের মাত্র অর্ধেক ঘুমায়। অন্য অংশ জেগে থাকে এবং চালায় শ্বাসক্রিয়ার চক্র।
খাদ্যে বঞ্চিত হয়ে মরার আগে ঘুমের বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু হয়। ২ সপ্তাহ অনশনে মৃত্যু হতে পারে কিন্তু ১০ দিন নির্ঘম থাকলে মৃত্যু আসে পায়ে পায়ে।