নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর&#250

Author Topic: নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তরú  (Read 3336 times)

Offline Sultan Mahmud Sujon

  • Administrator
  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 2674
  • Sultan Mahmud Sujon, Sr. Admin Officer
    • View Profile
    • Helping You Office Operation & Automation Management
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিল

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির দ্বিতীয় ঐচ্ছিক প্রটোকল
     


মৃত্যুদন্ড রহিতকরণে ১৯৮৯ সালের ১৫ই ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নং ৪৪/১২৮ মোতাবেক সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত এবং ঘোষিত

বর্তমান চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রসমূহ

বিশ্বাস করে যে মৃত্যুদন্ড রহিতকরণ মানবিক মর্যাদা এবং মানবাধিকারের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখে,

১৯৪৮ সালের ১০ ই ডিসেম্বরে গৃহীত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার অনুচ্ছেদ ৩ এবং ১৯৬৬ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে গৃহীত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুচ্ছেদ ৬ অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড রহিতকরণ গভীরভাবে কাম্য,

মৃত্যুদন্ড রহিতকরণের আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে,

নিম্নরূপে সম্মত হয়েছেন:

অনুচ্ছেদ-১

১. আলোচ্য প্রটোকলে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রের সীমানায় কারও প্রতি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাবে না।

২. প্রত্যেক সদস্যরাষ্ট্র তাদের নিজ সীমানায় মৃত্যুদন্ড রহিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

অনুচ্ছেদ-২

১. আলোচ্য প্রটোকল অনুযায়ী কোন শর্ত-সংরক্ষণ গ্রহণযোগ্য নয়। যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক প্রকৃতির কোন গুরুতর  অপরাধের শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদন্ড কার্যকরকরীকরণ সংক্রান্ত কোন শর্ত-সংরক্ষণ যদি প্রটোকল অনুমোদন বা যোগদানের সময় করে থাকে তবে সংরক্ষণ গ্রহণযোগ্য।

২. যে সদস্যরাষ্ট্র এরূপ সংরক্ষণ করে তাকে অবশ্যই অনুমোদন বা যোগদানের সময় জাতিসংঘ মহাসচিবকে যুদ্ধকালীন সময়ে প্রযোজ্য এতদসংক্রান্ত  শর্তসমূহ জানাতে হবে।

৩. এ ধরনের শর্ত-সংরক্ষণ প্রদানকারী কোন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যদি যুদ্ধ আরম্ভ বা শেষ হয়ে থাকে তবে তাকে অবশ্যই জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানাতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৩

প্রটোকল অনুচ্ছেদ ৪০ অনুযায়ী কোন সদস্যরাষ্ট্র যদি প্রটোকলকে কার্যকর করার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে তা অবশ্যই মানবাধিকার কমিটিকে যে রিপোর্ট দেয়া হবে তাতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

অনুচ্ছেদ-৪

আলোচ্য চুক্তির কোন সদস্যরাষ্ট্র যদি অনুচ্ছেদ ৪১ অনুযায়ী এক রাষ্ট্রের প্রতি অন্য রাষ্ট্রের অভিযোগ গ্রহণ ও বিবেচনা করার ক্ষমতা সংক্রান্ত বিষয়ে মানবাধিকার কমিটির যোগ্যতাকে স্বীকার করে নেয় তা ঐ রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য হবে যদি না ঐ রাষ্ট্রপক্ষ অনুমোদন বা যোগদানের সময় উপরোক্ত বক্তব্যর বিপরীত কোন বক্তব্য প্রদান করে।

অনুচ্ছেদ-৫

যদি অনুমোদন বা যোগদানের সময় সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র কোন বক্তব্য প্রদান না করে থাকে তবে ১৯৬৬ সালের সালের ১৬ ই ডিসেম্বরে গৃহীত নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রথম ঐচ্ছিক প্রটোকলের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ কর্তৃক ব্যক্তিগত অভিযোগ গ্রহণ ও বিবেচনার ক্ষেত্রে মানবাধিকার কমিটির যোগ্যতা স্বীকার করে তাদের জন্য বর্তমান প্রটোকলের বিধান প্রযোজ্য হবে।

অনুচ্ছেদ-৬

এই প্রটোকলের বর্তমান বিধানসমূহ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির অতিরিক্ত বিধান হিসাবে প্রযোজ্য হবে।

অনুচ্ছেদ-৭

১. অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র, যে আলোচ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, তার জন্য আলোচ্য প্রটোকলে স্বাক্ষর দেয়া উণ্মুত্ত।

২. চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে বা দিতে রাজী হয়েছে তাদের দ্বারা আলোচ্য প্রটোকল অনুমোদনযোগ্য। অনুমোদনের দলিল অবশ্যই জাতিসংঘ সেক্রেটারী জেনারেলের কাছে জমা দিতে  হবে।

৩. চুক্তিতে যোগদান করেছে বা যোগদান করতে  রাজী হয়েছে তাদের জন্য আলোচ্য প্রটোকলে যোগদান উণ্মুক্ত থাকবে।

৪. জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট যোগদানের অনুমতির দলিল জমা দেওয়ার মাধ্যমে আলোচ্য প্রটোকল কার্যকর হবে।

৫. জাতিসংঘ মহাসচিব আলোচ্য প্রটোকলে যারা স্বাক্ষর করেছে  অথবা যোগদান করেছে তাদেরকে অনুমোদন বা যোগদানের দলিল জমা দেয়ার  কথা অবহিত করবেন।

অনুচ্ছেদ-৮

১. চুক্তি কার্যকর হওয়া সাপেক্ষে, জাতিসংঘের মহাসচিবের নিকট দশম অনুমোদন বা যোগদানের দলিল জমা দেয়ার তারিখ থেকে তিন মাস পরে আলোচ্য প্রটোকল কার্যকর হবে।

২. প্রত্যেক রাষ্ট্র দশম অনুমোদন বা যোগদানের দলিল জমা দেয়ার পর এবং আলোচ্য প্রটোকলে অনুমোদন বা যোগদানের দলিল জমা দেয়ার তারিখ থেকে তিন মাস পরে তা কার্যকর হবে।

অনুচ্ছেদ-৯

কোন অন্তরায় বা বাধা ছাড়া আলোচ্য প্রটোকলের শর্তসমূহ প্রটোকলে আবদ্ধ রাষ্ট্র্রসমূহের সকল অংশে পরিব্যপ্ত।

অনুচ্ছেদ-১০

জাতিসংঘ মহাসচিব সকল সদস্যরাষ্ট্রকে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুচ্ছেদ ৪৮ এর প্রথম প্যারায় বর্ণিত বিষয়সমূহ অবহিত করবে:

১. আলোচ্য প্রটোকলের অনুচ্ছেদ ২ অনুযায়ী শর্ত-সংরক্ষণ, যোগাযোগ ও অবহিতকরণ;

২. বর্তমান চুক্তির অনুচ্ছেদ ৪ বা ৫ অনুযায়ী প্রদত্ত কোন বক্তব্য;

৩. আলোচ্য প্রটোকলের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী স্বাক্ষর, অনুমোদন ও যোগদানকরণ;

৪. অতঃপর বর্তমান প্রটোকল অনুচ্ছেদ ৮ অনুযায়ী প্রটোকলের কার্যকারিতা লাভের তারিখ।

অনুচ্ছেদ-১১

১. চীনা, ইংরেজী,ফ্রান্স, রাশিয়ান এবং স্পেনীয় ভাষায় আলোচ্য প্রটোকলের কপি জাতিসংঘের মহাফেজখানায় জমা রাখতে হবে।

২.চুক্তির ৪৮ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত সকল রাষ্ট্রসমূহে মহাসচিব আলোচ্য প্রটোকলের সত্যায়িত কপি প্রেরণ করবেন।